ঘুষসহ ধরা, দুদকের মামলায় আগ্রাবাদ ভূমি অফিস কর্মচারীর ৩ বছরের জেল

দুদকের করা মামলায় আগ্রাবাদ ভূমি অফিসের অফিস সহকারী সঞ্জীব কুমার দে’কে ৩ বছর কারাদণ্ড ও ৭০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২০ নভেম্বর) চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুনসী আবদুল মজিদের আদালত এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত সঞ্জীব কুমার দে নগরের কোতোয়ালী এনায়েতবাজার ১৪ নম্বর গোয়ালপাড়া এলাকার মৃত ক্ষিতিশ চন্দ্র দে’র ছেলে। বর্তমানে ৭ নম্বর জামালখান বাই লেইন এলাকার বাসিন্দা।

আরও পড়ুন: স্ত্রীসহ দুদকের জালে লোহাগাড়ার সেই ওসি শাহজাহান

দুদকের পিপি কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুদকের মামলায় ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আগ্রাবাদ সার্কেল সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস সহকারী সঞ্জীব কুমার দে’কে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারায় দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাস সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড,দ ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাস সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, স্বামী-স্ত্রীর ফ্ল্যাটের খতিয়ানে ভুলবশত স্ত্রীর নাম বাদ পরায় সংশোধনের জন্য হাজী মো. শফিকে ক্ষমতা অর্পণ করেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মনিরুজ্জামান। কিন্তু এ কাজের জন্য ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন সঞ্জীব কুমার দে। পরে ১০ হাজার টাকায় বনিবনা হলেও তারা দুদকে অভিযোগ করেন।

এর ভিত্তিতে প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে সজেকা, চট্টগ্রাম-১ এর উপ-পরিচালক মোশারফ হোসেন মৃধার নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি ট্রেপ টিম গঠন করা হয়। ২০১৬ সালের ২১ নভেম্বর ঘুষ নেওয়ার সময় দুদকের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়েন সঞ্জীব কুমার দে। এসময় তাকে গ্রেপ্তার করে মামলার পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

২০১৭ সালের ২৪ এপ্রিল সঞ্জীব কুমার দে’কে একমাত্র আসামি করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলা তদন্ত কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক সজেকা চট্টগ্রাম-১ জাফর আহমেদ। একই বছরের ২৬ জুলাই অভিযোগ গঠন করে মামলার কার্যক্রম শুরুর নির্দেশ দেন আদালত। চার্জশিটভুক্ত ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জন আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!