গাড়ি চালককে গুলি করে হত্যার পর নিজেও মরল গুলিতে

 

সীতাকুণ্ডে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ হত্যা মামলার আসামি ডাকাত কাজল (৪৮) নিহত হয়েছে।

নগরের পাহাড়তলী থানা এলাকার বাসিন্দা কাজল গরুবাহী গাড়িচালক আবদুর রহমান হত্যা মামলার অন্যতম আসামি।

শুক্রবার (৬ আগস্ট) দিবাগত রাতে সলিমপুরের ফৌজদারহাট-বায়েজিদ লিংক রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে।

সূত্রে জানা গেছে, একদল ডাকাত ফৌজদারহাট-বায়েজিদ লিংক রোড এলাকার মহাসড়কে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাবের একটি দল ওই এলাকার ৪ নম্বর ব্রিজে পৌঁছে। র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দল গুলি ছুঁড়ে। এ সময় র‌্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্ট গুলি ছুঁড়লে কাজল গুলিবিদ্ধ হয়। তবে ডাকাত দলের অন্য সদস্যরা পালিয়ে যায়।

পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কাজলের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠায়।

ঘটনাস্থল থেকে ২টি এলজি, ১টি বিদেশি পিস্তল, ১৫টি কার্তুজ, ২টি গুলি, ১টি কার্তুজের খোসা, ১টি ছোরা ও ২টি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, একই এলাকায় গত ১৬ জুলাই উপজেলার ফৌজদারহাট-বায়েজিদ লিংক রোডে কোরবানির গরু ট্রাকযোগে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়ার সময় ডাকাত দল গরু লুটের চেষ্টা করে। এ সময় ট্রাকচালক মো. আবদুল (৩৫) ডাকাতদের বাধা দিলে কাজল তাকে গুলি করে হত্যা করে। ওই সময় ৯ জন ডাকাতিতে অংশ নিয়েছিল। এর মধ্যে ৮ জন ডাকাত সম্প্রতি গ্রেপ্তার হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে চারজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে। তারা জানায়, ট্রাকচালককে প্রথমে গুলি করেছিল কাজল।

সালাউদ্দিন/ডিসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!