গলা টিপে খুনের পর ডোবায় ফেলে দেওয়া হয় কবিয়াল কমলকে

বোয়ালখালীতে কবিয়াল সরকার কমল দাশ (৬৬) খুনের ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন দুই আসামি।

বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আওলাদ হোসেনের আদালতে আসামি তপন চৌধুরী গণেশ (৩৮) ও রাজিব চৌধুরী রাজন (৪০) এ জবানবন্দি দেন।

আসামি তপন দক্ষিণ সারোয়াতলী গ্রামের মৃত হারাধন চৌধুরীর ছেলে এবং রাজিব একই এলাকার নিরাধন চৌধুরীর ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মো. আলমগীর আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, কবিয়াল খুনের জড়িত গণেশ ও রাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে খুনের দায় স্বীকার করেন। এরপর আজ (বৃহস্পতিবার) তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: চাঁদা চেয়ে ‘অস্ত্র ঠেকিয়ে খুনের হুলিয়া’—মামলা খেলেন ওসিসহ ৪ পুলিশ

তিনি আরও বলেন, আসামিরা আদালতকে জানায়, গত ১৬ অক্টোবর কমল দাশকে শ্বাসরোধ করে খুনেরে পর ডোবায় ফেলে দেয়। এ খুনে চারজন অংশ নেয়। প্রতিবেশী উজ্জ্বলের সঙ্গে পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে খুন করার কথা স্বীকার করেন গ্রেপ্তার দুই আসামি।

এর আগে গত ১৬ অক্টোবর নিখোঁজ হন কবিয়াল সরকার কমল দাশ। নিখোঁজের তিনদিন পর ১৯ অক্টোবর বাড়ির অদূরের একটি ডোবায় তার লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে অন্তর দাশ বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা করেন।

নিহত সরকার কমল দাশ সারোয়াতলী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইমামুল্লার চর গ্রামের মৃত সুধাংশু দাশের ছেলে। তিনি কবিগান করতেন।

যোগাযোগ করা হলে বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুর রাজ্জাক আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, কবিয়াল সরকার কমল দাশ নিহতের ঘটনায় ছেলে অন্তর দাশ বাদী হয়ে মামলা করার পর জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে পাঠানো হয়। তারা আজ (বৃহস্পতিবার) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

আরবি/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!