গণটিকার শেষদিন আজ—কেন্দ্রে কেন্দ্রে নানা বয়সের মানুষ

গণটিকা কার্যক্রমের শেষ দিন আজ (সোমবার)। আজও নগর, বিভিন্ন উপজেলাসহ সারাদেশে চলছে টিকাদান। প্রথমদিন ও দ্বিতীয়দিনের মতো আজ শেষদিনেও বেশিরভাগ গণটিকা কেন্দ্রে ছিল টিকা প্রত্যাশীদের ভিড়। তবে প্রথম দুদিনের তুলনায় ভিড় কিছুটা কম হলেও বিভিন্ন টিকাকেন্দ্রের সামনে ছিল বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষের লম্বা লাইন।

এর আগে গত শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) থেকে গণটিকার কার্যক্রম আরও দুদিন বাড়ায় স্বাস্থ্য অধিদফতর। স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আরও পড়ুন: গণটিকার দ্বিতীয় দিনেও জনস্রোত, সামাজিক দূরত্ব নেই—মাস্কও

করোনার গণটিকা কর্মসূচিতে গত শনিবার ও রোববার সকাল থেকেই কেন্দ্রে কেন্দ্রে মানুষের ঢল নেমেছিল। এ সময় ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছে টিকাদানকেন্দ্রের স্বেচ্ছাসেবকদের।

দেশের এক কোটি মানুষকে করোনাভাইরাসের প্রথম ডোজ টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা সামনে রেখে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় চট্টগ্রামসহ সারাদেশে।

টিকা পেতে আগে থেকে কোনো ধরনের নিবন্ধন কিংবা কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়নি। জন্মনিবন্ধন বা জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, এমন ব্যক্তিরাও শুধু মোবাইল নম্বরের ভিত্তিতে টিকা নিতে পেরেছেন।

সকাল ১০টায় নগরের কাজির দেউড়ির ঝুমুর সিনেমার সামনে উন্মুক্ত স্থানে টিকা নিতে আশা দিনমজুর মো. রাকিব (২২) বলেন, এতদিন বিভিন্ন ঝামেলার কারণে টিকা নিতে পারছিলাম না। আজ ঝামেলাবিহীন সুযোগ পাওয়ায় সুযোগ হাতছাড়া না করে লাইনে দাঁড়ালাম। বর্তমানে করোনার টিকা নেওয়া যেমন জরুরি তেমনি টিকা কার্ডটাও জরুরি।

আরও পড়ুন: গণটিকায় উপচেপড়া ভিড়, যতক্ষণ মানুষ থাকবে ততক্ষণ দেওয়া হবে

সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াছ চৌধুরী জানান, গণটিকার দুদিনে মানুষের ভালোই সাড়া পেয়েছি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী চট্টগ্রামসহ সারাদেশে আজ (সোমবার) গণটিকার শেষ দিনের কর্মসূচি চলছে। কেউ যাতে টিকা থেকে বাদ না পড়ে সে লক্ষ্যেই কাজ চলছে। আশা করছি সবাই টিকার আওতায় আসবে।

প্রসঙ্গত, করোনা মহামারি প্রতিরোধে মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ মানুষকে প্রথম ডোজের আওতায় আনতে দেশব্যাপী চলছে এই গণটিকা কার্যক্রম।

আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!