টিকা না নেওয়াদের বড় ঝুঁকির খোঁজ পেয়েছে আইইডিসিআর

দেশে টিকা নেওয়া করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের ৭ শতাংশ আর না নেওয়াদের ২৩ শতাংশকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে, এমনটাই উঠে এসেছে এক গবেষণায়।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান, আইইডিসিআর-এর গবেষণায় বিষয়টি উঠে আসে।

আইইডিসিআর গবেষণায় আরও পেয়েছে, করোনার দুই ডোজ টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের চেয়ে টিকা না নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত সমস্যা, হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি রয়েছে।

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) আক্রান্তদের নিয়ে গত মে ও জুন মাসে করা এক গবেষণার বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানায় আইইডিসিআর।

আইইডিসিআর বলছে, যারা অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত কিন্তু টিকা নেননি, তাদের ৩২ শতাংশই কোভিড-১৯ আক্রান্তের পর হাসপাতালে যেতে হয়েছে। টিকা গ্রহণকারীদের ক্ষেত্রে এটি ১০ শতাংশ ছিল। একাধিক অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত টিকা নেওয়া রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির পরিমাণ দুই ডোজ টিকা গ্রহণকারীদের চেয়ে ১৬ শতাংশ বেশি ছিল।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের এক ল্যাবে একদিনেই করোনা মিলল ৯২ শতাংশ নমুনায়

জানা যায়, গবেষণায় গত মে ও জুন মাসে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের জাতীয় তালিকা থেকে দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে ১ হাজার ৩৩৪ জনকে নির্বাচন করা হয়। তাদের সবার বয়স ছিল ৩০ বছরের বেশি। করোনাভাইরাস আক্রান্ত এই ১ হাজার ৩৩৪ জনের মধ্যে ৫৯২ জন কোনো টিকা নেননি। বাকীরা টিকা নিয়েছেন। টিকার দুই ডোজ নিয়েছেন এমন ৩০৬ জন টিকা নেওয়ার অন্তত ১৪ দিন পর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

আইইডিসিআর-এর গবেষণায় আরও উঠে এসেছে, টিকা না নেওয়া আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত জটিলতায় ভুগেছেন ১১ শতাংশ, যা পূর্ণ ডোজ টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে ৪ শতাংশ ছিল।

আইইডিসিআর বলছে, গবেষণায় অংশগ্রহণকারী টিকা না নেওয়া আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৯ জনকে আইসিইউতে নিতে হয়েছে যা ৩ শতাংশ। পূর্ণ ডোজ টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে ৩ জনকে আইসিইউতে নিতে হয়েছে, যা ১ শতাংশের কম। করোনাভাইরাসের টিকা নেননি এমন আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, শতকরা হিসেবে যা ৩ শতাংশ। অন্যদিকে, গবেষণায় নির্বাচিতদের মধ্যে টিকা নিয়েছেন এমন একজনও করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন।

জেডএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!