‘খুনের হুমকি’—এক চেয়ারম্যানকে মারলেন আরেক চেয়ারম্যান

‘তোকে খুন করে ফেলব’—প্রকাশ্যে এমন হুমকি এক চেয়ারম্যান দিয়েছিলেন আরেক চেয়ারম্যানকে। তবে খুনের এ রেশ তিনি মেটালেন চড়-থাপ্পড় দিয়ে।

৬ নম্বর ছিপাতলী পরিষদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আহসান লাভুকে এভাবেই লাঞ্ছিত করেন ৪ নম্বর গুয়ারমর্দন ইউনয়নিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান।

হাটহাজারী উপজেলা পরিষদে মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, ছিপাতলী ঈদগাহ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সভাপতি মুজিবুর রহমান এবং প্রধান উপদেষ্টা নুরুল আহসান লাভু। গত কয়েক বছর ধরে দুইজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। স্কুলের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়েই মূলত এসব দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। করোনাকালে স্কুলের ৩৭ লাখ টাকা অনিয়ম ও স্কুলে শিক্ষানুরাগী না রাখার বিষয় নিয়ে কথা বললে মুজিবুর রহমান ক্ষেপে গিয়ে লাভুকে খুন করার হুমকি দেন। সম্প্রতি স্কুল মাঠে মাটি ভরাট করার সময় এ দ্বন্দ্ব আরো প্রকট হয়।

আরও পড়ুন : দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন গ্যাং লিডার মামুন, ব্যবসায়ী নেতাকেও মৃত্যু পরোয়ানা

লাভু শুদ্ধাচার মিটিংয়ে এসব বিষয়ে কথা বললে ক্ষেপে যান মুজিবুর রহমান। মিটিং শেষে নিচে নামার সময় সিঁড়িতে লাভুকে মারতে থাকেন তিনি। এ সময় ১৪ নম্বর শিকারপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু বক্কর ছিদ্দিকি ও ৯ নম্বর গড়দুয়ারা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সরওয়ার মোরশেদ তালুকদারসহ কয়েকজন লোক মুজিবুর রহমানকে থামান। বিষয়টি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রাশেদুল আলমকে জানালে তিনি দুইজনকে সমস্যার সমাধান করতে ডাকেন। কিন্তু সেখানেও মুজিবুর রহমান হত্যার হুমকি দেয় বলে জানান লাভু।

৬ নম্বর ছিপাতলী পরিষদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আহসান লাভু বলেন, মুজিবুর রহমানের ৩৭ লাখ টাকার বিভিন্ন অনিয়মের কথা বলায় তিনি আমাকে বিভিন্ন সময় মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছেন। আজকেও এসব নিয়ে কথা বলায় সবার সামনে অমাকে চড়-থাপ্পড় দেন। এমনকি উপজেলা চেয়ারম্যানের সামনে মেরে ফেলার হুমকিও দেন। আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ ঘটনায় আমি আইন পদক্ষেপ নেব।

৪ নম্বর গুয়ারমর্দন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, উনি বিএনপি সমর্থিত বলে কোনো বরাদ্দ না পেয়ে এমন অভিযোগ আনছেন। আমি স্কুলের উন্নয়ন করায় তিনি এমন অভিযোগ তুলছেন। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা। আজকে আমাদের মধ্যে কিছু বিষয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে। পরে বিষয়টি সমাধান হয়েছে।

এ বিষয়ে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিদুল আলম বলেন, শুদ্ধাচার মিটিং শেষে দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছে। একজন আরেকজনকে চড় মেরেছেন। আমি বিষয়টি শুনে দুইজনকে ডেকে সমাধান করে দিয়েছি।

সিএম/ডিসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!