আগের বিয়েই বৈধ, ক্রিকেটার নাসির—তামিমার বিয়ে অবৈধ

রাকিব হাসানের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ সংক্রান্ত নথি জালিয়াতি করে ক্রিকেটার নাসির হোসেনকে বিয়ে করেন তামিমা সুলতানা তাম্মী। রাকিব হাসানকে ডিভোর্স না দিয়েই বিয়ে করায় এ বিয়ে বৈধ হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এক প্রতিবেদনে পিবিআই এ কথা জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জসীমের আদালতে এ প্রতিবেদন দাখিল করার কথা রয়েছে। পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান এ প্রতিবেদন দাখিল করবেন। তামিমার সাবেক স্বামী রাকিব হাসান বাদী হয়ে মামলটি করেন।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। ডিভোর্স পেপার ছাড়াই অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তামিমা সুলতানা তাম্মির বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়।

আরও পড়ুন: টি-২০ বিশ্বকাপ: উদ্বোধনী দিনেই মাঠে নামবে বাংলাদেশ

জানা যায়,২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাকিব হাসানের সঙ্গে তামিমা সুলতানার ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক ৩ লাখ এক টাকা দেনমোহরে বিয়ে এবং রেজিস্ট্রি হয়। বিয়ের পর থেকে তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে সংসার করতে থাকেন। তাদের তোবা হাসান নামে এক মেয়ে রয়েছে। যার বর্তমানে বয়স ৮ বছর।

পেশায় কেবিন ক্রু তামিমা সৌদি এয়ারলাইন্সে কর্মরত রয়েছেন। চাকরির সুবাদে তিনি ২০২০ সালের ১০ মার্চ সৌদিআরব যান। মহামারির কারণে জরুরি অবস্থা সৃষ্টি হলে সেখানেই অবস্থান করেন। এ সময় ফোন এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে রাকিবের সঙ্গে তার যোগাযোগ হতো।

চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি তামিমার সঙ্গে ক্রিকেটার নাসির হোসেনের কথিত বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে পত্রিকায় এই বিষয়ে সংবাদ দেখে রাকিব তামিমার বিয়ের বিষয়ে নিশ্চিত হন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ‘তামিমা বাদীর সঙ্গে বিয়ের সম্পর্ক চলমান থাকাবস্থায় নাসিরের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।

আরও পড়ুন: পারলেন না হাসারাঙ্গা—ব্যাট-বলে দাপুটে জয় টাইগারদের

নাসির বাদীকে ফোনে জানান যে, সম্পূর্ণ বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত এবং তার নিকট তামিমা আছেন। বাদীর সঙ্গে বিয়ের সম্পর্ক চলমান থাকাবস্থায় তামিমার নাসিরকে বিয়ে করা যা ধর্মীয় এবং রাষ্ট্রীয় আইনে সম্পূর্ণ অবৈধ। আসামির সঙ্গে তিনি অবৈধ বিয়ের সম্পর্ক দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন, যা নিকৃষ্ট ব্যাভিচার।’

অভিযোগে আরও বলা হয়, ‘আসামিদের এরূপ অনৈতিক ও অবৈধ সম্পর্কের কারণে বাদী ও তার শিশুকন্যা মারাত্মকভাবে মানসিক বিপর্যস্ত হয়েছেন। আসামিদের এহেন কার্যকলাপে বাদীর চরমভাবে মানহানি হয়েছে যা বাদীর জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।’

এসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!