করোনা কেড়ে নিল পাকিস্তানের খ্যাতিমান পরমাণু বিজ্ঞানীকেও

করোনা কেড়ে নিয়েছে পাকিস্তানের খ্যাতিমান পরমাণু বিজ্ঞানীকেও। রোববার (১০ অক্টোবর) সকালে মারা যান করোনায় আক্রান্ত পাকিস্তানের পরমাণু বোমার জনক ড. আবদুল কাদির খান।

পাকিস্তানের বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস অব পাকিস্তানের (এএপি) তথ্য অনুযায়ী, গত আগস্টের শেষদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ড. আবদুল কাদির খান। ২৬ আগস্ট তাকে রিসার্চ ল্যাবরেটরিজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে রাওয়ালপিন্ডির সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

আরও পড়ুন: স্প্রে করেই ১৪ দিনের করোনামুক্ত, অনন্য আবিষ্কার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিজ্ঞানীর

হাসপাতালে ভর্তির পর আবদুল কাদির খান অভিযোগ করেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার সময় দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বা তার মন্ত্রিসভার কোনো সদস্যই তার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেননি। তবে মৃত্যুর পর শোক জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পারভেজ খাত্তাক। তার মৃত্যুকে পাকিস্তানের জন্য বড় ধরনের ক্ষতি বলেও আখ্যায়িত করেন মন্ত্রী।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পারভেজ খাত্তাক বলেন, জাতির জন্য তার (ড. আবদুল কাদির খান) অবদানকে সবসময় শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে পাকিস্তান! আমাদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধিতে মূল্যবান অবদানের জন্য পাকিস্তানি জাতি তার কাছে চিরঋণী।

আরও পড়ুন: ৩ কারণে হালদায় মরছে ‘ডলফিন’

উল্লেখ্য, পাকিস্তানের পরমাণু কর্মসূচির জনক হিসেবে কাদির খান পাকিস্তানিদের কাছে জাতীয় বীর হিসেবে পরিচিত। অবশ্য কয়েকটি দেশে পরমাণু অস্ত্রের গোপন তথ্য পাচারের দায়ে ড. আবদুল কাদির খানের সেই মর্যাদা কিছুটা খর্ব হয়।

২০০৪ সালে টেলিভিশনে দেওয়া বক্তব্যের মাধ্যমে ইরান, উত্তর কোরিয়া ও লিবিয়ায় পারমাণবিক তথ্য পাচারের কথা স্বীকার করেন কাদির খান। যদিও পরে আবদুল কাদির খান তার এ বক্তব্য প্রত্যাহার করেন। এরপর পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ তাকে ক্ষমা করে দিলেও গৃহবন্দী করে রাখেন।

১৯৩৬ সালে ভারতের মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালে জন্মগ্রহণ করেন বিখ্যাত পরমাণু বিজ্ঞানী ড. আবদুল কাদির খান। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর পরিবারের সঙ্গে তিনি পাকিস্তান চলে যান।

এসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!