‘করোনার হটস্পট’—৩ জেলার চেয়েও বেশি ‘শনাক্ত-মৃত্যু’ চট্টগ্রামের ৪ উপজেলায়

চট্টগ্রামের ‘করোনার হটস্পট’ জোন হাটহাজারী, রাউজান, সীতাকুণ্ড ও ফটিকছড়ি উপজেলায় শনাক্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এই চারটি ‍উপজেলায় করোনা শনাক্তের সংখ্যা এখন পার্বত্য চট্টগ্রামের ৩ জেলা- রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ির চেয়েও বেশি।

শুক্রবার (২৩ জুলাই) সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, আগের ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তদের মধ্যে রাউজানের ১১ জন, ফটিকছড়ির ৬৩ জন, হাটহাজারীর ২৯ জন ও সীতাকুণ্ডের বাসিন্দা রয়েছেন ১০ জন। ওই দিন চট্টগ্রামের চার উপজেলা মিলে করোনা শনাক্ত হয় মোট ১১৩ জনের।

একইদিন (২৩ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, আগের ২৪ ঘণ্টায় পার্বত্য চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তদের মধ্যে রাঙামাটির ৩০ জন, বান্দরবানের ৭ জন ও খাগড়াছড়ির বাসিন্দা রয়েছেন ৩ জন। ওই দিন তিন জেলা মিলে করোনা শনাক্ত হয় মোট ৪০ জনের।

আরও পড়ুন: ‘ছাড়’—কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই খুলছে ৩ আর্থিক খাত

এদিকে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ১৭ জুলাইয়ের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চট্টগ্রামে সেদিন পর্যন্ত করোনা শনাক্তদের মধ্যে ৮ হাজার ৯৭১ জনই ‘করোনার হটস্পট’ জোন হাটহাজারী, রাউজান, সীতাকুণ্ড ও ফটিকছড়ি উপজেলার বাসিন্দা। এরমধ্যে হাটহাজারীতে সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৪৫৬ জন, রাউজানে ১ হাজার ৯৪৪ জন, সীতাকুণ্ডে ১ হাজার ৮০৮ জন ও ফটিকছড়িতে ১ হাজার ৭৬৩ জনের নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের একই তারিখের পরিসংখ্যানে আরও জানা যায়, ওই দিন পর্যন্ত করোনা রোগীর মৃত্যুর ক্ষেত্রেও চট্টগ্রামের উপজেলাগুলোর মধ্যে শীর্ষে ছিল হাটহাজারী। এ উপজেলায় সরকারি হিসাবে সেদিন পর্যন্ত ৬৪ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। একই দিন পর্যন্ত সীতাকুণ্ডে ৪৪, ফটিকছড়িতে ২৪ ও রাউজানে মৃত্যু হয় ২৩ জন করোনা রোগীর।

অন্যদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১৭ জুলাইয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলায় ওই দিন পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ২১৬ জন। এরমধ্যে রাঙামাটিতে সর্বোচ্চ ২ হাজার ১১০ জন, বান্দরবানে ১ হাজার ৩৮৯ জন ও খাগড়াছড়িতে ১ হাজার ৭১৭ জনের নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একই তারিখের পরিসংখ্যানে আরও জানা যায়, ওই দিন পর্যন্ত করোনা রোগীর মৃত্যুর ক্ষেত্রেও পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলাগুলোর মধ্যে শীর্ষে ছিল রাঙামাটি। এ জেলায় সরকারি হিসাবে সেদিন পর্যন্ত ২১ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। একই সময় পর্যন্ত বান্দরবানে ১৩ জন ও খাগড়াছড়িতে ১৭ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়।

প্রসঙ্গত, শনিবার (২৪ জুলাই) চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের ১ হাজার ৩০৪ নমুনা পরীক্ষায় ৩০১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২৫৮ জন নগরের এবং ৪৩ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। একইসময়ে মারা গেছেন ৬ জন করোনা রোগী। এরমধ্যে ৩ জন নগরের এবং ৩ জন উপজেলার বাসিন্দা।

চট্টগ্রামে এ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৮৭৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর। অন্যদিকে এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামের মোট ৭৪ হাজার ৫৬২ নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে।

জেডএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!