কক্সবাজারজুড়ে ইয়াসের প্রভাবের ক্ষত, কপাল পুড়েছে লবণচাষিদের

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কক্সবাজার উপকূলীয় অঞ্চল। প্লাবিত হয়েছে বেশ কয়েকটি গ্রাম। ঝড়ো হাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বনাঞ্চল। কপাল পুড়েছে লবণচাষিদেরও।

ইয়াস ও পূর্ণিমার কারণে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ফুট বেশি উচ্চতায় আছড়ে পড়ে কক্সবাজারের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে। প্রাথমিকভাবে আড়াই হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।

গত দুই দিনে ঝড়ো বাতাসে ঝাউ গাছসহ ২৩ হেক্টর উপকূলীয় বনাঞ্চল নষ্ট হয়েছে। সাগরের প্রবল ঢেউয়ে ভেঙে গেছে প্রায় ৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ। সেন্টমার্টিন দ্বীপের জেটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঢেউয়ের প্রভাবে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ঘরবাড়ি, মেরিন ড্রাইভ সড়ক, বনাঞ্চলসহ সেন্টমার্টিন দ্বীপের জেটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শিগগির ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ বিবরণ পাওয়া যাবে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় চাল এবং অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা মানুষদের খাদ্যসহায়তা অব্যাহত রয়েছে।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুর আহমদ আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, পূর্ণিমার অতি জোয়ারে সেন্টমার্টিন দ্বীপের জেটির পল্টন ভেঙে গেছে। পানি ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়েকটি রিসোর্ট। প্লাবিত হয়েছে উপকূলীয় এলাকার নিম্নাঞ্চল। সৈকতের বালিয়াড়ি ও গাছগাছালি ভেঙেছে।

কক্সবাজার জেলার সদর, কুতুবদিয়া, মহেশখালী, ধলঘাটা, সেন্টমার্টিন দ্বীপের ১৬টি ইউনিয়নের লবণচাষিদের পড়তে হয়েছে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতির মুখে। ২ হাজার ৯৬ মেট্রিক টন লবণ নষ্ট হয়েছে জোয়ারের পানি ঢুকে।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প উন্নয়ন সংস্থার (বিসিক) কক্সবাজার লবণশিল্প উন্নয়ন প্রকল্পের উপমহাব্যবস্থাপক জাফর ইকবাল বলেন, জোয়ারের পানি ঢুকে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় লবণমাঠে থাকা দুই হাজার ৯৬ মেট্রিক টন লবণ নষ্ট হয়ে গেছে।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান বলেন, আগামীকালও (২৮ মে) জোয়ারের প্রভাব থাকবে। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে চার ফুট পর্যন্ত বাড়তে পারে।

বলরাম/ডিসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!