ওদের কাছে ‘লকডাউন’ মানে চায়ের দোকানে আড্ডা

সারাদেশে কঠোর লকডাউন চললেও কক্সবাজারের গ্রামের মানুষদের মধ্যে এর প্রভাব নেই বললেই চলে। যেখানে ঘর থেকে বের হতে নিষেধ আছে, সেখানে বয়স্ক থেকে শুরু করে শিশুরা অলি-গলির দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছে।

জেলার শহরে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়াকড়ি থাকলেও গ্রামের ছোট সড়ক এবং গলিতে লকডাউন মানছে না কেউ। এমনকি প্রায় মানুষকে মুখে মাস্ক পড়তেও দেখা যাচ্ছে না।

এজন্য গ্রামের সড়ক ও অলি-গলিতে প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছেন সচেতনমহল।

খুরুশকুল ডেইলপাড়া এলাকার নজির আহামদ বলেন, এখানে লকডাউনের কোনো প্রভাব নেই। বেশির ভাগ মানুষের মুখে মাস্কও নেই।

খুরুশকুল মনুপাড়া এলাকার রুবেল নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, অতীতেও লকডাউন গ্রামাঞ্চলের মানুষের ওপর প্রভাব ফেলতে পারেনি, এখনো তাই। মানুষ চায়ের দোকানে, বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় আড্ডা দিচ্ছে।

আবার পিএমখালী রশিদ আহমদ নামের এক ব্যবসায়ীতো লকডাউনে কোনো অসুবিধা হলে তার ওখানে চলে যেতে বললেন। কারণ ওই জায়গায় নাকি কোনো লকডাউন নাই। মানুষও নাকি বের হয়ে যে যার মতো সময় কাটাচ্ছে।

লকডাউন নিয়ে পিএমখালীর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নুরুল হুদা বলেন, করোনাভাইরাসকে গ্রামের মানুষ এখনো অবহেলা করে। বিশেষ করে বয়স্ক মানুষদের বোঝানো যায় না।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায় বলেন, প্রথম দিনের মত আজও (২ জুন) প্রশাসন, সেনাবাহিনী, র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি সবাই বিভিন্ন জায়গায় নজরদারি রেখেছিল। এখন থেকে গ্রামাঞ্চলেও নিয়মিত টহল জোরদার করা হবে।

বলরাম/ডিসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!