ভাটিয়ারিতে ত্রাসের রাজত্ব জারী রেখেছে সাব্বির বাহিনী। এবার তালা লাগিয়ে দিয়েছে এসএ গ্রুপের কারখানায়। তালাবদ্ধ কারখানায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে অসংখ্য ভোগ্যপণ্য। আবার নির্দিষ্ট সময়ে শিপমেন্ট করাতে না পারায় বিশাল অঙ্কের ক্ষতির হুমকিতে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এদিকে তালা লাগিয়ে দেওয়ায় কারখানায় যেতে পারছেন না এসএ গ্রুপের শ্রমিক-কর্মচারীরা। এ অবস্থায় একপ্রকার বেকার দিন কাটাতে হচ্ছে কারখানার দুই হাজার শ্রমিককে। শুধু তাই নয়, এই একটি কারখানা বন্ধের কারণে হুমকির মুখে রয়েছে পাঁচ হাজার মানুষের জীবন।
জানা যায়, চলাচলের জন্য ৩০ বছর ধরে যে রাস্তাটি ব্যবহার করে আসছে এসএ গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ সেটি তাদের নিজস্ব। রাস্তাটির মালিকানার দলিলও রয়েছে তাদের। কিন্তু হঠাৎ সেই রাস্তাটি জোর করে বন্ধ করে দেয় সাব্বির বাহিনী।
আরও পড়ুন: ‘আলোর পথে’ ৩৩ বছরের এসএ গ্রুপ, ১৭ প্রতিষ্ঠানে জনবল নেবে আরও ১০ হাজার
ছয় মাস ধরে রাস্তাটি বন্ধ করে রেখেছে সাব্বির বাহিনীর লোকজন। গায়ের জোরে রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে অন্য একটি রাস্তা ব্যবহারে তারা বাধ্য করছেন। এতে রাজি না হওয়ায় সাব্বির বাহিনীর লোকজন এসে কারখানার গেটে তালা লাগিয়ে দেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গেটে তালা লাগিয়ে দেওয়ায় শ্রমিকরা কারখানায় যেতে পারছেন না। এ অবস্থায় বন্ধ রয়েছে কারখানার উৎপাদন কার্যক্রমও। কারখানায় উৎপাদিত গুরুত্বপূর্ণ ভোগ্যপণ্যগুলোও সরবরাহ করা যাচ্ছে না। এতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে অনেক পণ্য।
এসএ গ্রুপের অধীনে রয়েছে ভাটিয়ারি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ৮টি প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল অন্তত পাঁচ হাজার মানুষ।
আরও পড়ুন: বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে আবারও জেলা প্রশাসনের পাশে এসএ গ্রুপ
নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা আলোকিত চট্টগ্রামকে জানান, এলাকায় আতঙ্কের নাম সাব্বির আহম্মদ চৌধুরী। ভাটিয়ারিতে দীর্ঘদিন ধরে অপরাধের রাজত্ব কায়েম করেছে তার বাহিনী। ভূমি দখল থেকে শুরু করে পাহাড় কাটা, চাঁদাবাজি— এমন কোনো অপরাধ নেই যা করে না সাব্বিরের লোকজন। এতকিছুর পরও কেউ মুখ খোলার সাহস করে না। কারণ জলে বাস করে কুমিরের সঙ্গে লড়াই করবে কে?
আলোকিত চট্টগ্রাম