এক পুলিশ ফাঁড়ির কারণে ৩ উপকূলীয় ইউনিয়নে আতঙ্ক—ফায়দা লুটছে অপরাধীরা

দীর্ঘ ১০ মাস ধরে কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে চকরিয়ার বদরখালী ইউনিয়নের বদরখালী পুলিশ ফাঁড়ির। ফলে এলাকায় মাদকের ব্যবসা, চুরি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। সবমিললিয়ে উপকূলীয় তিন ইউনিয়নের মানুষেরা আতঙ্কে দিন পার করছেন।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৪ সালে বদরখালী সমবায় ও কৃষি উপনিবেশ সমিতির কয়েকটি কক্ষ নিয়ে অস্থায়ী বদরখালী পুলিশ ফাঁড়ির কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। একজন উপপরিদর্শক (এসআই) ও এক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) দিয়ে ফাঁড়িটি পরিচালিত হচ্ছিল।

আরও পড়ুন : ৭ ধাপে উত্তীর্ণ হয়েও পুলিশের চাকরিটা পেলেন না আসপিয়া

২০১৪-১৫ সালে সমিতির স্থায়ী কার্যালয়ের ভবন নির্মাণকাজ শুরু হলে ফাঁড়ির কার্যক্রম বদরখালী বাজারের অদূরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্যালয়ে স্থানান্তর করা হয়। এরপর ২০২১ সালের শুরুতে অস্থায়ী পুলিশ ফাঁড়ির কার্যালয়ে তালা দিয়ে কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় থানা পুলিশ।

স্থানীরা জানান, উপকূলীয় বদরখালী, পশ্চিম বড়ভেওলা ও ঢেমুশিয়া তিন ইউনিয়নের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা কাজ করতেন। দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তর সমবায় সমিতি ‘বদরখালী সমবায় ও কৃষি উপনিবেশ সমিতি’ নিয়ে এলাকাটি চকরিয়ার সবচেয়ে বড় স্টেশন। এছাড়া বদরখালী বাজার আরও দুটি উপজেলার সংযোগস্থল।

নৌপথ পারাপারের মাধ্যম হিসেবে প্রতিদিন অর্ধলক্ষাধিক মানুষ বদরখালীর ফেরিঘাট ব্যবহার করেন। বদরখালীতে দেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন প্রকল্প মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের যাতায়াতের মূল স্থল ও নৌপথ রয়েছে।

এদিকে পুলিশ ফাঁড়ি বন্ধ হওয়ার পর প্রতিদিনই রাতের আঁধারে ব্যবসায়ী ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছেন। এ নিয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

আরও পড়ুন: রক্তাক্ত গ্রাম পুলিশ౼অপরাধ আসামির বাড়ি দেখিয়ে দিয়েছিলেন

স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা নুরে হাবিব তছলিম আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, বদরখালী পুলিশ ফাঁড়ির কার্যক্রম থাকার সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। সাম্প্রতিক ইউপি নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় এক ব্যক্তি প্রতিপক্ষের হাতে খুন হন। এখন পুলিশ ফাঁড়ির কার্যক্রম পুনরায় চালু করার দাবি বদরখালীবাসীর। তাই পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চকরিয়া সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. তফিকুল আলম বলেন, বদরখালী পুলিশ ফাঁড়ির কার্যক্রম বন্ধ হয়নি। মূলত করোনাকালীন ফোর্স কম থাকার কারণে স্থায়ী পুলিশ রাখা যায়নি। তবে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিত টহল টিম কাজ করছে। ফের ফাঁড়িতে পুলিশ মোতায়েন করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।

আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!