ইয়াসের প্রভাবে প্লাবিত মহেশখালী-আনোয়ারার অসংখ্য গ্রাম

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উচ্চতায় জোয়ারের পানিতে মহেশখালী উপজেলার ধলঘাট, মাতারবাড়ি, কুতুবজোমের সোনাদিয়া, ঘটিভাঙ্গা ও পৌরসভাসহ ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ মে) রাতে এলাকার লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহফুজুর রহমান ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের টেক অফিসাররা বুধবার (২৬ মে) ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহফুজুর রহমান বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলার সব প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মানুষের জন্য শুকনো খাবার ও পানি মজুতের ব্যবস্থা করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর তালিকা তৈরি করতে স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আনোয়ারা

এদিকে আনোয়ারা প্রতিনিধির জানায়, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে আনোয়ারা ও কর্ণফুলীর নিম্নাঞ্চল জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার রায়পুর ও জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি ঘর জোয়ারের পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বুধবার (২৬ মে) দুপুরে সরেজমিন রায়পুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ইয়াসের প্রভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের পানি ৬-৭ ফুট বেড়ে যাওয়ায় ইউনিয়নের পরুয়াপাড়া ও ছিপাতলী ঘাট এলাকায় বেড়িবাঁধ উচিয়ে পানি ঢুকে পড়ে। এছাড়া বড় উঠান, মাঝি ঘাট, ঘাটকুল, ফকিরহাট নোয়াপাড়া এলাকায় বেড়িবাঁধ ভাঙনের কবলে পড়ে।

জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের লামার বাজার এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে পানি ঢুকে বেশ কয়েকটি মৎস্যঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। জোয়ারের প্রভাবে বারখাইন, হাইলধর, পরৈকোড়া ও চাতরী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে। নোয়া রাস্তা ইছামতি খালে নির্মিত বাঁধ ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নে কয়েকটি গ্রামের মানুষ ইয়াসের কারণে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

কর্ণফুলীর শিকলবাহা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম জানান, অতিরিক্ত জোয়ারের চাপে খালের পানি ঢুকে পড়েছে গ্রামে। এতে ৫টি গ্রামের বিভিন্ন ফসল ও ক্ষেত খামারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী অনুপম দাশ বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের বিভিন্ন পয়েন্টে বাঁধ ভাঙনের মুখে পড়েছে। এসব ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ভাঙ্গন ঠেকাতে জিও ব্যাগ বসানোর কাজ শুরু করা হয়েছে।

আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জোবায়ের আহমেদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় সিপিপি’র স্বেচ্ছাসেবক টিমের ১ হাজার সদস্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপজেলায় ৫৮টি সাইক্লোন শেল্টারে মানুষের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!