গার্মেন্টস কর্মীদের বেতনের দিন ইপিজেডের আশপাশ এলাকায় ঘুরে বেড়ায় চক্রের সদস্যরা। এদের মধ্যে কয়েকজন খুঁজতে থাকে টার্গেট। এরপর সুযোগ বুঝে টার্গেট কর্মীকে কৌশলে নির্জন গলিতে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা একই চক্রের ৮-১০ জন এসে হঠাৎ ঘিরে ধরে। ছুরির ভয় দেখিয়ে সেই গার্মেন্টস কর্মীর পুরো মাসের বেতন ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। তবে এবার আর শেষ রক্ষা হয়নি। একই কায়দায় টাকা ছিনতাই করতে গিয়ে এবার পুলিশের জালে ধরা পড়েছে চক্রের ৪ সদস্য। তবে চক্রের আরও কয়েকজন পালিয়েছে। তাদেরও খুঁজছে পুলিশ।
সোমবার (৫ জুন) রাত পৌনে ৯টার দিকে নগরের ইপিজেড থানার কাজীর গলির পকেট গেইট কাঁচাবাজার এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে নগদ ৫ হাজার টাকা, ২টি টিপ ছুরি ও ১টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: টার্গেট মার্কেট, পুলিশের জালে ছিনতাইচক্রের ৬
বিষয়টি নিশ্চিত করে অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া ইপিজেড থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শেখ তারেকুল ইসলাম আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, আটকরা হলেন- হালিশহর বড়পোল, নিউমুরিং আবাসিক এলাকার মো. ফেরদৌস হোসেনের ছেলে মো. হাসান ইমাম রুবেল (২২), ইপিজেড নিউমুরিং তক্তারপুল এলাকার মো. হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. রানা হোসেন (২৫), একই থানার কাজির গলির মৃত আবু জাফরের ছেলে সাকিব মো. রাহাদ (২৩) এবং মো. আবু ইউসুফের ছেলে গোলাম ইয়াসিন ওরফে ইভান (২২)।
ভুক্তভোগী গার্মেন্টস কর্মী ওয়াসিম বলেন, সোমবার রাতে অফিস থেকে বেতনের ৩০ হাজার টাকা নিয়ে বাসায় ফিরছিলাম। কাজির গলির পকেট গেইট এলাকার একটি চায়ের দোকানে নাস্তা খেতে বসি। তখন আটকরা আমাকে টার্গেট করে। পরে নাস্তার বিল দিয়ে ব্যাগে নিয়ে বাসার দিকে যাওয়ার সময় ৮-১০ জন আমার পথ আগলে দাঁড়ায়। এসময় তারা ছুরি ধরে নগদ ৩০ হাজার টাকা এবং মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর আমি বিষয়টি ইপিজেড থানা পুলিশকে জানায়।
যোগাযোগ করা হলে ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল করিম আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ পেয়ে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রের ৪ সদস্যকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে নগদ ৫ হাজার টাকা, ২টি টিপ ছুরি ও একটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। তবে চক্রের বাকি সদস্যরা পালিয়ে যায়। তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।
এনইউএস/আরবি