টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে মাটি সরে গেছে প্রায় এক যুগ আগে তৈরি করা মনাই ত্রিপুরা পল্লীর একটি ব্রিজের সংযোগ সড়কের। ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজে যাতায়াতে দুর্ভোগে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিদুল আলমও করোনাঢ আক্রান্ত। উপায় না দেখে মানাই ত্রিপুরার সর্দার শচীন ত্রিপুরা বিষয়টি জানান সাবেক ইউএনও রুহুল আমিনকে।
শুক্রবার (২০ আগস্ট) সকাল ৭টার দিকে হাটহাজারী উপজেলার মনাই ত্রিপুরা পল্লীর সর্দারের ফোন পেয়েই দুর্ভোগ দূরের উদ্যোগ নেন সাবেক ইউএনও রুহুল আমিন। সড়ক সংস্কারের জন্য ২২টি ড্রামশিটের পাশাপাশ ৬০ জনের জন্য খাবার পাঠান।
আরও পড়ুন: জনপ্রশাসন পদক পাচ্ছে হাটহাজারী উপজেলা
এদিকে সরঞ্জামা পেয়ে এলাকার অর্ধশতাধিক মানুষ নিজেরাই নেমে পড়েন সড়ক সংস্কারে। টানা পাঁচ ঘণ্টার কঠোর পরিশ্রমে ঝুঁকিমুক্ত করে তোলেন সড়কটি।আর পুরো বিষয়টি ভার্চুয়ালি তদারকি করেন সাবেক ইউএনও রুহুল আমিন।
ত্রিপুরা পল্লীর সর্দার শচীন ত্রিপুরা বলেন, ২০০৩ সালের দিকে ব্রিজটি বানানো হয়। টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে মাটি সরে আমাদের আসা-যাওয়ার একমাত্র সংযোগ সড়কটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠে। এ নিয়ে আমরা সবাই আতঙ্কিত ছিলাম। নতুন ইউএনও মহোদয় করোনা আক্রান্ত। শেষ পর্যন্ত উপায় না দেখে সাবেক ইউএনও রুহুল আমিন স্যারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করি। তিনি সমস্যার কথা শুনে সড়ক সংস্কারের জন্য ২২টি ড্রামশিট ও প্রায় ৬০ জনের জন্য খাবার পাঠিয়ে দেন। সরঞ্জামাদি পেয়েই আমরা নিজেরাই সংস্কার কাজে নেমে পড়ি এবং টানা ৫ ঘণ্টার শ্রমে সড়কটি সংস্কার করি।
আরও পড়ুন: আলো ছড়িয়ে বিদায় নিলেন ইউএনও রুহুল আমিন
এ বিষয়ে হাটহাজারীর সাবেক ইউএনও রুহুল আমিন আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, ‘শুক্রবার সকালে মনাই ত্রিপুরা সর্দারের ফোন আসে। তিনি আমাকে এলাকার সমস্যার কথা জানালে আমি কিছু সরঞ্জাম এবং খাবার পাঠিয়ে তাদের কাজ করার উৎসাহ দিই। পরে তারা নিজেদের সড়ক নিজেরাই সংস্কার করেছেন।