হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন ইউসুফ, আসামিরা ঘুরছেন বুক ফুলিয়ে

রাঙ্গুনিয়া রাজানগর ইউপি সদস্য আবু তৈয়ব তালুকদারের (৩৫) বড় ভাই সৌদি প্রবাসী মো. ইউসুফের (৫০) ওপর হামলার ঘটনায় মামলার পর থানা পুলিশের বিরুদ্ধে আসামি গ্রেপ্তার না করার অভিযোগ উঠেছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ।

বর্তমানে ইউসুফ নগরের পাঁচলাইশের পার্কভিউ হাসপাতালে আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন বলে জানান ভিকটিমের ছোট ভাই আবু তৈয়ব।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মো. ইউসুফ আলী রানীহাট বাজার থেকে বাসায় ফেরার পথে বগাবিলি ব্রিজ এলাকায় তার ওপর অতর্কিত হামলা করে দুবৃর্ত্তরা। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেক হাসপাতাল এবং পরে নগরের পাঁচলাইশ এলাকার পার্কভিউ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

আরও পড়ুন: পালিয়েও বাঁচতে পারল না মাদক—যৌতুক মামলার ২ আসামি

এদিকে এ ঘটনায় রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) আহতের স্ত্রী মোছাম্মৎ শাহিনুর আক্তার শাহিদ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- রাজানগর ৩ নম্বর ওয়ার্ড বগারবিল এলাকার নবীর হোসেনের ছেলে আজগর আলী (৪৫), আলী আকবর (৪১) ও আবু তালেব (৩৮), মো. আয়ুব আলী খাঁনের ছেলে টিপু (৩০), মামুন (৪০), মো. মুবিন (২০), মো. হাসানের ছেলে নেজাম উদ্দিন (নাজু), নুরুল ইসলামের ছেলে মাহাবুবুল আলম (৩৩), বদন আলীর ছেলে মো. আলমগীর (৩৯), আরফিন আলী খানের ছেলে মো. আয়ুব আলী খাঁন (৫৪) এবং সুলতান আহমদের ছেলে মোহসিনুল হকসহ (৫৬) আরও অজ্ঞাত ৫ জন।

এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর (শনিবার) আজগর ও তার ভাইয়েরা মিলে তৈয়বের সমর্থক হৃদয় ও পরদিন তৈয়বকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন।

ভিকটিমের পরিবার জানায়, গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মো. ইউসুফের ছোট ভাই আবু তৈয়ব ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে জয়-পরাজয় ঘিরে আজগর আলীর সঙ্গে বিরোধ চলছিল। এর জেরে গত ১১ ডিসেম্বর (শনিবার) আজগর ও তার ভাইয়েরা মিলে আবু তৈয়বের সমর্থক হৃদয় ও পরদিন আবু তৈয়বকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন।

পরে হামলার ঘটনায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও রাঙ্গুনিয়া থানায় দুটি মামলা করা হয়। তবে মামলার দেড়মাস পরেও আসামিদের কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ-এমন অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।

আরও পড়ুন: খুন করে অপমৃত্যুর প্রচার—রিমান্ডে ২ আসামি

এ বিষয়ে আহতের ছোট ভাই আবু তৈয়ব তালুকদার অভিযোগ করে বলেন, গত ১১ ও ১২ ডিসেম্বর দুদিন আমি ও আমার এক সমর্থককে আজগর ও তার ভাইয়েরা মিলে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এ ঘটনায় মামলা করা হলেও রহস্যজনক কারণে পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করছেন। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার না করা কারণে ঘটনার দেড় মাস পর আমার প্রবাসী ভাইকে মেরে গুরুতর আহত করে তারা৷ বর্তমানে আমার ভাই নগরের একটি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাহবুব মিল্কি অভিযোগ অস্বীকার করে আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, মো. ইউসুফের ওপর হামলার ঘটনায় মামুন ও আবু বকর নামের দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদেরও দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে৷

সিএম/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!