আলোকিত চট্টগ্রামে সংবাদ প্রকাশ : সেই ওয়ার্ডের ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার শুরু

৬ নম্বর পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডের লক্ষ্মী মাঝির বাড়ির গলির ড্রেনের ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারের কাজ অবশেষে শুরু হয়েছে। সপ্তাহজুড়ে ওই এলাকার গলিতে জমে ছিল নোংরা পানি। ফলে দুর্ভোগের শেষ ছিল না এলাকাবাসীর।

এ নিয়ে মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) দৈনিক আলোকিত চট্টগ্রামে ‘চট্টগ্রামে এক এলাকায় পানি জমি আছে সপ্তাহজুড়ে, কাউন্সিলর জেনেও সুরাহা নেই’ শিরোনামে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। প্রতিবেদন প্রকাশের পরপরই টনক নড়ে স্থানীয় কাউন্সিলরের।

আজ (মঙ্গলবার) দুপুর ৩টার দিকে ময়লা-আবর্জনায় ঠাসা ড্রেনটি পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়। এসময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের তিনজন পরিচ্ছন্নকর্মী ময়লা-আবর্জনা তোলা শুরু করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত ড্রেনটি পরিষ্কার করা হয়। তবে এখনও পুরোপুরি পরিষ্কার করা সম্ভব হয়নি। আরও এক কিংবা দুদিন সময় লাগতে পারে।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে এক এলাকায় পানি জমি আছে সপ্তাহজুড়ে, কাউন্সিলর জেনেও সুরাহা নেই

এলাকার বাসিন্দা মো. সোহাগ বলেন, আজ দুপুর ৩টার দিকে ৩ জন লোক আসে ড্রেনটি পরিষ্কার করতে। তারা জানায়, কাউন্সিলর মহোদয় তাদের পাঠিয়েছেন। ড্রেনটি দীর্ঘদিন ধরে ময়লা-আবর্জনায় ঠাসা ছিল। এখন পরিষ্কার করার কারণে কিছুটা হয়ত স্বস্তি মিলতে পারে জমে থাকা পানি থেকে।

তিনি বলেন, এর আগে গত এক সপ্তাহ ধরে চলাচলের রাস্তায় নোংরা পানি জমে ছিল। এসময় এলাকাবাসীর চলাচলে দুর্ভোগের শেষ ছিল না। স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ ছিল সবচেয়ে বেশি।

যোগাযোগ করা হলে ৬ নম্বর পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এম আশরাফুল আলম আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, বিষয়টি জানার পর আমি লোক পাঠিয়ে দ্রুত ড্রেনের ময়লা-আবর্জনা তোলার ব্যবস্থা করেছি। কিন্তু ড্রেন পরিষ্কার করা হলেও এলাকাবাসী সুফল পাবে না। কারণ যতদিন পর্যন্ত খালে বাঁধ থাকবে ততদিন পানির দুর্ভোগ থাকবে। যদি খালের মুখে জমে থাকা পানিগুলো পাম্পিং করে বের করে দেওয়া যায় তাহলে দুর্ভোগ কিছুটা হলেও কমবে। কারণ বাসা-বাড়ির পানিগুলো ড্রেনের মাধ্যমে খালে যায়। এখন বাঁধের কারণে পানিগুলো স্বাভাবিকভাবে যেতে পারছে না। ফলে নিচু এলাকার মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। এই বিষয়টি আমি সিডিএ’র বোর্ড সভায়ও তুলে ধরেছি।

আরবি/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!