আবার চট্টগ্রাম থেকে বরিশাল যাবে জাহাজ, সময়ের সঙ্গে কমবে খরচ

১২ বছর পর আবারো চালু হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম-বরিশাল নৌপথে জাহাজ চলাচল। সর্বশেষ ২০০৯ সালে এই নৌপথে সরকারি সংস্থার জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

তবে এবার বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দুটি জাহাজ এই রুটে চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) হয়ত বরিশাল থেকে চট্টগ্রামে পরীক্ষামূলক জাহাজ চলতে পারে।

আরও পড়ুন : আবারও বিলাসবহুল জাহাজে যাওয়া যাবে সেন্টমার্টিন

বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা গেছে, এমভি তাজউদ্দীন ও এমভি বার আউলিয়া নামের জাহাজ দুটি চলবে এ রুটে। এমভি তাজউদ্দিন বর্তমানে চট্টগ্রাম-হাতিয়া রুটে চলাচল করে। এছাড়া এমভি বার আউলিয়া সংস্কার শেষে ডকইয়ার্ড থেকে আসার অপেক্ষায় রয়েছে। এটি ২০০২ সালে বিকল হয়ে যায়। জাহাজে একটি নতুন ইঞ্জিন লাগানো হয়েছে। জাহাজ দুটি ১২ নটিক্যাল মাইল গতিতে চলার সক্ষমতা রয়েছে। প্রতিটি জাহাজে তৃতীয় ও দ্বিতীয় শ্রেণির পাশাপাশি ২৫টি কেবিন রয়েছে। এছাড়া আসন রয়েছে ৭৫০টি। এ জাহাজ চট্টগ্রাম থেকে বরিশাল পৌঁছতে সর্বোচ্চ সময় লাগবে ১২ ঘণ্টা।

২০০৯ সালে এই রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ হলে চট্টগ্রামের সঙ্গে বরিশালের  নৌ যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে বরিশাল যেতে লক্ষ্মীপুর হয়ে মেঘনা পাড়ি দিতে হয়। এতে সময়ের সঙ্গে খরচের পরিমাণও বেড়ে যায়। এ কারণে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। তাই নতুন এ সিদ্ধান্তে ব্যবসার প্রসার ঘটবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন : চট্টগ্রাম ছাড়ল যুক্তরাজ্যের সেই রাজকীয় যুদ্ধজাহাজ

তবে এখনো ভাড়া কত হবে সেটা নির্ধারণ হয়নি বলে জানায় বিআইডব্লিউটিসি। তাদের সূত্র মতে, চট্টগ্রাম থেকে জাহাজ বরিশালে আসার পথে হাতিয়া-সন্দ্বীপ-নোয়াখালী এবং ভোলার ইলিশায় ঘাট দেবে। আর বরিশাল থেকে জাহাজ ছেড়ে ভোলার ইলিশা পার হয়ে মনপুরা আর বোরহানউদ্দিনের মির্জাকালু রেখে বঙ্গোপসাগরে নামবে। এরপর ঢুকবে কর্ণফুলী নদীতে।

২০০৯ সালে সর্বশেষ এই নৌপথে এমভি মতিন ও এমভি মনিরুল হক চলাচল করত। পরে জাহাজ দুটি সংস্কারে নিয়ে গেলে বন্ধ হয়ে যায় এই রুটে চলাচল।

আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!