আবার আসছে বিধিনিষেধ

করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ মোকাবিলায় আবার আসছে বিধিনিষেধ। আসছে আসনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলাচলের সিদ্ধান্ত। একইসঙ্গে কমছে দোকানপাট ও শপিংমল খোলা রাখার সময়ও।

মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

এদিকে বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে আগামী সাতদিনের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। এর আগে সোমবার (৩ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আয়োজনে ওমিক্রন মোকাবিলায় আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হয়। এতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রধান অতিথি ছিলেন। ওই বৈঠকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত হয়।

আরও পড়ুন: দুদিনেই দ্বিগুণ—চট্টগ্রামে ‘ভয়াবহ’ রূপ নিচ্ছে করোনা

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা গত এক সপ্তাহ ধরে লক্ষ্য করছি, করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। যেভাবে বাড়ছে, এটা আশঙ্কাজনক। সেই চিন্তা-ভাবনা করে আমরা গতকাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সঙ্গে আমরা মিটিং করেছি। সেই মিটিংয়ে আমি ছিলাম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয় ছিলেন, সচিবরা, বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি, এসপি, ডিআইজিরা যুক্ত ছিলেন। তাদের কিছু পরামর্শ ও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, সেগুলো ফাইনাল না। ক্যাবিনেট থেকে সবার কাছে ফাইনাল চিঠিটা যাবে ।

ওই সভার আলোচনার সূত্র ধরে তিনি বলেন, করোনাভাইরাস ও ওমিক্রনকে আমাদের রুখতে হবে। সেজন্য কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। যানবাহনে মাস্ক ছাড়া চলাচল করা যাবে না। যদি কেউ বাস, ট্রেন ও লঞ্চে চলাচল করে তাহলে জরিমানা গুনতে হবে। এটার একটা সিদ্ধান্ত মোটামুটি হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, বাস ও অন্যান্য যানবাহনে যাত্রীর সংখ্যা অর্ধেক রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। রেস্টুরেন্ট ও হোটেলে মাস্ক পরে যেতে হবে। মাস্ক ছাড়া কেউ গেলে জরিমানা গুনতে হবে। একইসঙ্গে দোকানদাকেও জরিমানা করা হবে।

দোকান-মার্কেট খোলা রাখার সময়সীমা কমিয়ে আনা হবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, রাত ১০টার পরিবর্তে রাত ৮টা পর্যন্ত দোকানপাট খোলা রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে করোনার প্রকোপ কমার লক্ষণ নেই, বিধিনিষেধ মানছেই না কেউ

ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য তাগাদা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, হোটেল-রেস্টুরেন্টে খেতে হলে টিকা দেওয়ার কার্ড দেখাতে হবে। মাস্ক পরে যেতে হবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল চলবে। যদি সংক্রমণ বেশি বাড়ে তবে স্কুলের বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করা হবে। স্কুল চালিয়ে রাখা যাবে না। এখনো সেই সিদ্ধান্ত আমরা নেইনি, সেই পরিস্থিতি এখনো দেশে বিরাজ করছে না।

তিনি আরও বলেন, অনেকে জিজ্ঞাসা করছেন, লকডাউন দেওয়া হবে কি-না, পাশের দেশে তো দিয়েছে। আমরা সেই চিন্তা এখনো করছি না। যদি অবস্থা আওতার বাইরে যায়, সংক্রমণ বেড়ে যায়, তাহলে লকডাউনের চিন্তা মাথায় আছে। পাশাপাশি স্থল, নৌ ও সমুদ্রবন্দরে স্ক্রিনিং জোরদার করা হয়েছে। কোয়ারেন্টাইনের ক্ষেত্রে পুলিশ পাহারা বসানো হবে, এ বিষয়ে দৃষ্টি দিতে বলা হয়েছে।

আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!