আবারও ধস, আবারও লাশ

রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় পাহাড় কাটতে গিয়ে মাটিচাপা পড়ে লাশ হলো শাহিন আলম (১৮) নামের এক শ্রমিক।

রোববার (২৮ নভেম্বর) বিকাল ৪টার দিকে লংগদু ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বড়াদম বান্দরতলা নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শাহিন আলম উপজেলার ভাইট্টাপাড়া এলাকার আবুল হাসেমের ছেলে।

আরও পড়ুন: সেপটিক ট্যাংকে ছিল নগ্ন তরুণীর বস্তাবন্দি লাশ

প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের বড় ভাই মো. ভবিষ্যত মিয়া জানান, রোববার বিকেলে ২টি গাড়িতে আমরা চারজন শ্রমিক ও দুজন চালক পাহাড় থেকে মাটি সংগ্রহ করতে যায়। পাহাড়ের কোলে গাড়ি থামানোর পর উপর থেকে হঠাৎ মাটি ধসে পড়ে। এ সময় শাহীন ও নাছির নিচে চাপা পড়ে। এ সময় অন্যরা মিলে নাছিরকে উদ্ধার করতে পারলেও শাহীনকে খুঁজে পায়নি। প্রায় ৩০ মিনিট পর স্থানীয়দের সহযোগিতায় শাহীনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এরপর তাদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শাহীনকে মৃত ঘোষণা করেন এবং আহত নাছিরকে হাসপাতালে ভর্তি করান।

লংগদুর ইবনেসিনা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. আরিফুল ইসলাম আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, আজ (রোববার) সন্ধ্যায় মাটিচাপা পড়ে আহত দুজনকে হাসপাতালে আনা হয়। এদের মধ্যে শাহিন আলম মারা যান। আহত নাছিরের কোমরে আঘাত পেয়েছেন এবং বাম পায়ের রড ঢুকেছে। বর্তমানে তিনি শঙ্কামুক্ত আছেন।

এ বিষয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও ঠিকাদার শাহজাহান মিয়া জানান, ২০০৭ সালে এই পাহাড়ের মাটি কাটতে গিয়ে আমার ভায়রা মো. হারুন নিহত হয়েছেন। প্রায়সময় এমন পাহাড় কাটতে গিয়ে শ্রমিকরা আহত হন। তারপরও পাহাড়কাটা থামছে না।

আরও পড়ুন: বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেলের সামনে বীর মুক্তিযোদ্ধা—মুহূর্তেই লাশ ২ এসএসসি পরীক্ষার্থী

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লংগদুর মুসলিম ব্লক থেকে মাইনী পর্যন্ত সড়ক নির্মাণে মাটি ভরাটের জন্য নির্মানিক চাকমার ব্যক্তি মালিকানাধীন এই পাহাড়ের মাটি কিনছেন ঠিকাদাররা। সেই পাহাড়ের মাটিচাপা পড়ে শাহিন আলম নিহত হয়েছে।

এ বিষয়ে লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আরিফুল আমিন জানান, বড়াদম এলাকায় পাহাড় কাটতে গিয়ে একজন শ্রমিক মাটিচাপা পড়ে মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি। মৃতদেহ পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। আগামীকাল (সোমবার) সকালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে। এরপর নিহতের পরিবার আইনি পদক্ষেপ নিতে চাইলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরমান/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!