আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে অপরাধীরা ঘুরছে বুক ফুলিয়ে

লোহাগাড়ার আওয়ামী লীগ কর্মী আবু তাহেরকে (৩৫) মারধর করে জখম ও লুটপাটের ঘটনার আসামিরা ঘুরছে বুক ফুলিয়ে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) আদালতের নির্দেশের পর লোহাগাড়া থানায় ডাকাতি মামলা করা হয়। মামলার পাঁচদিন পেরিয়ে গেলেও আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এতে ফের হামলার শঙ্কা নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন আবু তাহের ও তার পরিবার।

আবু তাহের লোহাগাড়া উপজেলার উত্তর কলাউজানের চেয়ারম্যানপাড়া এলাকার মৃত হাকিম আলীর ছেলে। তিনি স্থানীয় কলাউজান ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর।

জানা গেছে, গত ২৩ অক্টোবর রাত ২টার দিকে উত্তর কলাউজানের চেয়ারম্যান বাড়ির আবু তাহেরের বসতবাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আবু তাহের বাদী হয়ে গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগ করেন।

পরে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে নিয়মিত মামলা করার জন্য লোহাগাড়া থানার ওসিকে নির্দেশ দেন আদালত।

মামলায় মাসুদ পারভেজ প্রকাশ ডাকাত পারভেজ (৩৮), আতিকুর রহমান (৪৬), মো. হানিফ প্রকাশ শিমুল (৪৫), শাহ আলম (৫০), মিজানুর রহমান (৪৮), রাশেদুল হক প্রকাশ রাসেল (৪৩), ওসমান গণিসহ (৩৯) অজ্ঞাত আরও ৭-৮ জনকে আসামি করা হয়।

ভুক্তভোগী ও মামলার বাদী আবু তাহের বলেন, আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আসামিরা হামলা চালায়। মামলার পরও আসামিরা প্রকাশ্যে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না। এ অবস্থায় আমি পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, গত ২৩ অক্টোবর দিবাগত রাত ২টার দিকে খন্তা ও কুড়াল দিয়ে আবু তাহেরের বসতঘরের দরজা ভেঙে ৭ জন ডাকাত প্রবেশ করে। এসময় আবু তাহেরের হাত বেঁধে তাঁর মা আনোয়ারা বেগমকে মারধর করে।

এরপর আলমারি থেকে ২ ভরি স্বর্ণালংকার, আড়াই লাখ টাকা ও অর্ধলাখ টাকার কাপড় নিয়ে যায়। এসময় আবু তাহের চিৎকার করলে ডাকাত দলের সদস্য পারভেজ লোহার রড দিয়ে তাঁকে আঘাত করে। এছাড়া আতিকুর রহমান গলা চেপে ধরে এবং হানিফ প্রকাশ শিমুল বাদীর অণ্ডকোষ চেপে ধরে। অন্যান্য আসামিরা স্বর্ণালংকার, মালামাল ও টাকা লুট করে নিয়ে যায়।

শেষে আবু তাহের ৯৯৯-এ ফোন করলে লোহাগাড়া থানা পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এদিকে রক্তাক্ত আবু তাহেরকে উদ্ধার করে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লোহাগাড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, মামলার তদন্ত চলছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতনরা অবগত আছেন।

যোগাযোগ করা হলে লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, তদন্ত রিপোর্ট পেলে ব্যবস্থা নেব।

মামলার পাঁচদিনেও আসামিদের গ্রেপ্তারে অগ্রগতি নেই কেন প্রশ্ন করা হলে আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছেন বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন ওসি।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!