আত্মসমর্পণ করা জলদস্যু খুন—মাটির নিচে ছিল দেশি-বিদেশি অস্ত্র-গুলি, আটক ৩

মহেশখালীর আলোচিত আলাউদ্দিন হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। আটকদের দেওয়া তথ্যে উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ।

সোমবার (২২ নভেম্বর) রাতে ও মঙ্গলবার ভোরে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে র‌্যাব-১৫। অভিযানে ৪টি এক নলা বন্দুক, একটি থ্রি কোয়াটার বন্দুক, ৩টি এলজি, ১টি বিদেশি পিস্তল, ১টি ম্যাগজিন, ২ রাউন্ড তাজা গুলি ও ৫ রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

আরও পড়ুন: অস্ত্র বিক্রি করতে এসে ধরা দুই যুবক, পালিয়ে গেল ২ জন

আটকরা হলেন- মামলার প্রধান আসামি রফিকুল ইসলাম প্রকাশ মামুন (২৮), তার সহযোগী মো. রিফাত (২৩) ও ১২ নম্বর আসামি আইয়ুব আলী (৪০)।

র‌্যাব জানায়, গত ৫ নভেম্বর মহেশখালীর কালারমারছড়ায় আত্মসমর্পণ করা জলদস্যু আলাউদ্দিনকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। এরপর থেকে ছায়া তদন্ত শুরু করে র‌্যাব-১৫। গত ২২ নভেম্বর গোপন সংবাদে বান্দরবানের লামার ফাইতং থেকে হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা ও মামলার প্রধান আসামি রফিকুল ইসলাম মামুন ও তার সহযোগী রিফাতকে আটক করা হয়।

পরে কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলী এলাকা থেকে মামলার ১২ নম্বর আসামি আয়ুব আলীকে আটক করা হয়। এরপর তাদের দেওয়া তথ্যে মহেশখালীর কালারমারছড়ার ছামিরাঘোনা পাহাড়ের মাটি খুঁড়ে ৪টি একনলা বন্দুক, ১টি থ্রি কোয়াটার বন্দুক, ৩টি এলজি, ১টি বিদেশি পিস্তল, ১টি ম্যাগজিন, ২ রাউন্ড তাজা গুলি ও ৫ রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

আরও পড়ুন: মামলার পরও বেপরোয়া—কিশোর গ্যাংয়ের ৫ জন ধরা পড়ল অস্ত্রসহ

এ বিষয়ে র‌্যাব-১৫ এর কক্সবাজার ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর শেখ ইউসূফ আহমেদ জানান, মহেশখালীর আলাউদ্দিন হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচিত হওয়ার পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে ছামিরাঘোনা পাহাড় থেকে। আটকদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা শেষে তাদের মহেশখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

যোগাযোগ করা হলে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হাই জানান, র্যাবের হাতে আটকদের অস্ত্র, গোলাবারুদসহ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা করা হয়েছে।

শাহাবউদ্দীন/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!