চট্টগ্রামে আদালতে মামলার বাদীর নাক-মুখ ফাটিয়ে ভেঙে দিল দাঁত

বিচারের আশায় আদালত ভবনে আসেন বিচার প্রার্থীরা। কিন্তু বিচার চাইতে এসে আদালত অঙ্গনেই রক্তাক্ত হয়েছেন অপহরণ মামলার এক বাদী। পরে হামলায় আহত ওই যুবককে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

বুধবার (২৭ জুলাই) দুপুরে হাজিরা দিয়ে বের হওয়ার সময় জেলা জজ ভবন সংযুক্ত ফুটওভার ব্রিজের ওপর এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন: অপহরণ—ধর্ষণ সবই দায়মুক্ত হলো আদালতের বিয়েতে, পেল জামিনও

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, হামলায় জানে আলমের চোখ, নাক ও ঠোঁট গুরুতর জখম হয়েছে। একটি দাঁত ভেঙে গেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, নগরের ১৭ নম্বর রুট নিউ মার্কেট থেকে নতুন ব্রিজ এলাকায় চলাচল করা টেম্পু থেকে প্রতিদিন ৫০০ টাকা করে চাঁদা নিতেন বাকলিয়া নোমান কলেজ ছাত্রলীগের কথিত আহ্বায়ক আজমীর। চলতি বছরের শুরু থেকে ২ হাজার টাকা করে চাঁদা দাবি করছিলেন তিনি। টাকা না দেওয়ায় টেম্পু চালক, সহকারী, লাইনম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের বিভিন্ন সময় মারধর ও হুমকি দিত আজমীর গ্রুপ।

এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের শুরুতে টাকা না দেওয়ার কারণে নগরের চামড়া গুদাম এলাকা থেকে টেম্পু ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জানে আলমকে অপহরণ করে নিয়ে যায় আজমীর গ্রুপের সদস্যরা।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী জানে আলম আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, অপহরণের পর আমার কাছে মুক্তিপণ দাবি করে আজমীর। সেসময় মুক্তিপণ দেওয়ার কথা বলে তাদের কাছ থেকে প্রাণে বেঁচে নগরের কোতোয়ালী থানায় অপহরণ মামলা করি। এ মামলার আজ (বুধবার) আদালতে হাজিরা দিতে কোর্ট বিল্ডিং এলাকায় উঠার সময় আমার পথ আটকে দাঁড়ায় ৭-৮ জন যুবক। এসময় আমি দ্রুত আইনজীবীর চেম্বারে ঢুকে যাই।

আরও পড়ুন: ১৩ দিনের শিশু অপহরণ হয়নি—‘দত্তক’ আড়াল করতে ‘নাটক’ সাজান মা!

পরে আদালত থেকে হাজিরা দিয়ে বের হওয়ার পর জেলা জজ ভবন সংযুক্ত ফুটওভার ব্রিজের ওপর হামলা করে চিহ্নিত দুর্বৃত্তরা। এসময় আজমীর, রবিন, মাইনুদ্দীন লেদু, শাহাবুদ্দীন, সুজন, মিজান, ফারুক ও লালু মিলে আমাকে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। পরে আইনজীবীদের সহায়তায় আমি কোনোরকম প্রাণে বাঁচি। এসময় আইনজীবীরা একজনকে আটক করে জেলা আইনজীবী সমিতির অফিসে নিয়ে যান। পরে মুচলেখা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় আমি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!