৪ স্কুলছাত্র অপহরণ౼৩ জন উদ্ধার, আটক ৩ অপহরণকারী

কক্সবাজারের রামুর খুনিয়াপালংয়ে অপহৃত চার স্কুলছাত্রের মধ্যে তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছে।

শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) টেকনাফ নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাহাড়ি এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করে ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। অপরজনকে উদ্ধারে অভিযান চলছে।

উদ্ধার ছাত্ররা হলো౼ রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের পেঁচারদ্বীপের মংলাপাড়া এলাকার মো. কায়সার (১৪), মিজানুর রহমান নয়ন (১৪) ও জাহিদুল ইসলাম (১৬)। তবে এখনো নিখোঁজ আছে মিজানুর রহমান (১৪)। এদের মধ্যে জাহিদুল সোনারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র, বাকিরা অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ১৬ এপিবিএন’র অধিনায়ক এসপি তারিকুল ইসলাম। তিনি আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, টেকনাফের নয়াপাড়ার শালবন পাহাড় থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে জাহেদুল ইসলাম মামুন, মিজানুর রহমান নয়ন ও মো. কায়সারকে উদ্ধার করা হয়েছে। মিজানুর রহমান নামের অপর এক ছাত্র এখনো নিখোঁজ রয়েছে। এ ঘটনায় তিন অপহরণকারীকেও আটক করা হয়েছে।

আরও পড়ুন : ইউএনওর ‘সিএ টু’-কে অপহরণ, মারধর করে ৩ লাখ টাকায় মুক্তি

এ ঘটনায় আটক তিনজন হলো౼ টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এইচ-ব্লকের বাসিন্দা নজির আহাম্মদের ছেলে নুর সালাম (৫০), নুর সালামের মেয়ে রনজন বিবি (১৩) এবং একই ক্যাম্পের মোচনীপাড়ার আবুল কাদেরের ছেলে সাদ্দাম মিয়া (৪০)।

রামু থানার জিডি সূত্রে জানা যায়, রামুর পেঁচারদ্বীপের ‘বাতিঘর’ নামের একটি কটেজের কর্মচারী জাহাঙ্গীর আলম ও মো. ইব্রাহিমের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় ওই চার স্কুলছাত্রের। সে সুবাদে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে জাহাঙ্গীর ও ইব্রাহিম তাদের সেন্টমার্টিন বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকায় নিয়ে যান। ইব্রাহিম ও জাহাঙ্গীর দুজনই রোহিঙ্গা।

এরপর থেকে চারজনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরদিন দুপুরে স্বজনদের কাছে বিভিন্ন অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছিল অপহরণকারীরা। মুক্তিপণ না দিলে চারজনের মরদেহ ফেরত দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়।

অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ২৬ নম্বর ব্লকের মো. কাছিমের ছেলে। তার সহযোগী মো. ইব্রাহিমের বাড়িও একই এলাকায়। তারা ‘বাতিঘর’ কটেজের কর্মচারী। এ ঘটনায় আটক তিনজন ইব্রাহিমের স্বজন বলে জানা গেছে।

বলরাম/ডিসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!