২৮ দিন পর কারাগার থেকে লাশ হয়ে ফিরলেন বিএনপি নেতা

চট্টগ্রাম কারাগারে মারা গেছেন মিরসরাই পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য ফকির আহম্মদ (৬৫)।

মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হলে কারা কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মারা যাওয়া বিএনপি নেতা ফকির আহম্মদ মিরসরাই পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড নাজিরপাড়ার বাসিন্দা।

আরও পড়ুন: বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ—ধর্ষক যুবকের ঠাঁই হলো কারাগারে

জানা গেছে, গত ১৮ অক্টোবর রাতে নিজ বাড়ি থেকে ফকির আহম্মদকে গ্রেপ্তার করে মিরসরাই থানা পুলিশ। পরে হাটহাজারী থানার মন্দির ভাঙচুর ও সহিংসতার মামলায় তাকে আদালতে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সালাহ উদ্দিন সেলিম বলেন, রাজনৈতিক সব মামলায় জামিনে থাকার পরও ফকির ভাইকে অন্যায়ভাবে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এরপর হাটহাজারী থানার মন্দির ভাঙচুরের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। তিনি আমাদের প্রবীণ নেতা। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বিভিন্ন শারীরিক রোগে ভুগছিলের। আদালতে কয়েকবার জামিন চাওয়া হলেও জামিন দেওয়া হয়নি।

এদিকে বিএনপিত নেতা ফকির আহম্মদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আরও পড়ুন: কারাগারের গেট থেকেই চোখের জলে ‘মাকে চিরবিদায়’ জানালেন ছেলে

এছাড়া শোক প্রকাশ করেছেন- বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, মিরসরাই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নুরুল আমিন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আমিন, মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল আউয়াল চৌধুরী, মিরসরাই উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী, মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন সেলিম ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদল সভাপতি জাহিদুল আফসার জুয়েল।

তারা মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।

আজিজ/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!