নিরাপত্তার চাদরে ঢেকেছে চকরিয়া—পেকুয়া, ১৬ ইউনিয়নে ভোট রোববার

কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়ার ১৬টি ইউনিয়নে তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে আগামীকাল (রোববার)। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন ১২১ জন। এছাড়া সাধারণ সদস্য পদে ৬৪২ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ২০৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এদিকে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সবধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনকে ঘিরে মাঠে নেমেছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম এবং পেকুয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রেজাউল করিম আলোকিত চট্টগ্রামকে জানান, দুই উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের ১৪৫ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে চকরিয়ার সাহারবিল ও লক্ষ্যারচর এবং পেকুয়া সদর ইউনিয়নে ভোট নেওয়া হবে ইভিএমে।

আরও পড়ুন: ‘অনন্য রেকর্ড’— রাউজানে ভোটের আগেই সবাই জয়ী

নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে দুই উপজেলার ১৬ ইউনিয়নে ৩৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ৬ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। এর মধ্যে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে র‌্যাব-১৫।

র‌্যাব-১৫ এর সিইও লে. কর্ণেল খাইরুল ইসলাম আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। যেখানেই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে সেখানেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ যদি নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা ও সহিংসতা সৃষ্টির চেষ্টা করে তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

যোগাযোগ করা হলে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ ও পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূর্বিতা চাকমা বলেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবধরনের প্রস্ততি নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে কাজ শুরু করেছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

মুকুল/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!