১৫ টাকার ভাড়া যেভাবে ১৫০ টাকা হয়!

সঙ্কট মুহূর্তে পুরনো সংস্কৃতির পুনরাবৃত্তি দেখল চট্টগ্রাম। গুরুত্বপূর্ণ উৎসব উপলক্ষ বা জাতীয় সঙ্কটে জিনিসপত্রের দাম বাড়ানোর পুরানো ঐতিহ্য আছে এদেশের ব্যবসায়ীদের। এবার লকডাউনকে ঘিরে সেই একই কাজে নেমেছেন রিকশাচালকরা।

করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, বাস, টেম্পুসহ গণপরিবহন চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। কিন্তু কাজ বা জরুরি প্রয়োজনে মানুষকে ঘরের বাইরে বের হতেই হচ্ছে। যার সুযোগ নিচ্ছেন রিকশাচালকরা, ভাড়া হাঁকছেন ইচ্ছেমতো।

বুধবার (৩০ জুন) সরেজমিন নগরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে রিকশাচালকদের এমন ভাড়া নৈরাজ্য চোখে পড়েছে। বৃষ্টিভেজা দিনে অফিসগামী বা জরুরি কাজে বের হওয়া মানুষ বাধ্য হয়েই বাড়তি ভাড়ায় ছুটেছেন গন্তব্যে।

নগরের কাস্টম মোড় থেকে স্বাভাবিক সময়ে ১৫ থেকে ১৭ টাকা ভাড়া গুণলেই পৌঁছানো যায় গণি বেকারি পর্যন্ত। কাস্টম মোড় থেকে বারিক বিল্ডিং ৫ টাকা এবং বারিক বিল্ডিং থেকে গণি বেকারি ১০ থেকে ১২ টাকা ভাড়া নেওয়া হয় বাস-টেম্পুতে।

এদিন একই দূরত্বের গন্তব্যে যেতে অনেকের খরচ হয়েছে ২০০ টাকা পর্যন্ত! সকাল থেকেই বৃষ্টি, তারওপর সরকারি বিধিনিষেধের কারণে চলছে না গণপরিবহন। আবার এতটা গন্তব্য হেঁটে যাওয়ার কথা ভাবার মতো মানুষও অনেক কম।

আর সে সুযোগ এদিন ভালোভাবেই লুফে নেন রিকশাচালকরা। সরাসরি কিংবা ভেঙে ভেঙে এদিন ১৫ থেকে ১৭ টাকার গন্তব্যে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত গুণতে হয়েছে এই পথের যাত্রীদের।

শুধু এই রাস্তাই নয়। নগরের প্রায় বেশিরভাগ স্থানেই এদিন ছিল ভাড়া নৈরাজ্য। রিকশাচালকরা যেমন ইচ্ছে ভাড়া হেঁকেছেন। যাত্রীরাও বাধ্য হয়ে গন্তব্যে ছুটেছেন কয়েকগুণ ভাড়া দিয়ে।

নগরের সুগন্ধা থেকে এক নারী ব্যাংকার অফিস করেন আগ্রাবাদ এলাকায়। এই ব্যাংকারের মামা ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন চৌধুরী আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, লকডাউন ঘোষণার পর থেকেই রিকশাচালকরা বাড়তি ভাড়া নিচ্ছেন। সুগন্ধা থেকে আমার ভাগ্নি আগ্রাবাদে অফিস করতে গেছে ১৫০ টাকা রিকশা ভাড়া দিয়ে। স্বাভাবিক সময়ে তার যাতায়াত খরচ অনেক কম হয়।

প্রসঙ্গত, ১ জুলাই থেকে আরও ‘কঠোর লকডাউনে’র ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এ দফার লকডাউনকে কেন্দ্র করে আগের তিনদিনের মতো পরবর্তী সাত দিনও দেশে গণপরিবহন বন্ধ থাকার কথা বলা হয়েছে সরকারি প্রজ্ঞাপনে।

জেডএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!