দীর্ঘ ৩০ বছর পর মিরসরাইয়ে মো. সাইফুদ্দিন ইমরান হত্যা মামলায় তিনজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ১২ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। তবে মারা যাওয়ায় একজন অব্যাহতি পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ড. আবুল হাসানাতের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
আমৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-শফিউল আলম, সাহাবুদ্দিন ও আমির হামজা।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কবির আহমেদ, দিদারুল আলম মিলন, আবু আবদুল্লাহ কিরন, সিদ্দিক আহমদ, রুহুল আমিন, হুমায়ুন কবির প্রকাশ কবির আহমদ, আরিফ হোসেন আরিফ, আনোয়ারুল আজিম এবং জয়নাল আবেদীন।
এদিকে বিচার চলাকালীন অভিযুক্ত হেঞ্জু মিয়া মারা যাওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা পিপি অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, হত্যা মামলার আসামি শফিউল আলম, সাহাবুদ্দিন ও আমির হামজাকে আমৃত্যু বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
তিনি বলেন, কবির আহমেদ, দিদারুল আলম মিলন, আবু আবদুল্লাহ কিরন, সিদ্দিক আহমদ, রুহুল আমিন, হুমায়ুন কবির প্রকাশ কাবির আহমদ, আরিফ হোসেন আরিফ, আনোয়ারুল আজিম ও জয়নাল আবেদীনকে ৩০ বছর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া ত্রিশ বছরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামিদের কারাভোগের সময় সাজা থেকে কাটা হবে। সকল সাজা একই সঙ্গে চলবে।
পিপি আরও বলেন, রায় ঘোষণার সময় কবির আহম্মদ ও হুমায়ুন কবির প্রকাশ কবির আহমদ উপস্থিত থাকায় তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডিশনাল পিপি অ্যাডভোকেট আজহারুল হক, এডিশনাল পিপি অ্যাডভোকেট ইকবাল হোসেন ও সহকারী পিপি অ্যাডভোকেট সেলিনা আক্তার।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৩ সালের ১৮ জুন বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মিরসরাই থানার সাহেরখালি ভোরের বাজার এলাকায় মো. সাইফুদ্দিন ইমরানকে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করে আসামিরা। এসময় সাইফুদ্দিনর সঙ্গে থাকা নাজিম উদ্দিন ও আলাউদ্দিনকে মারধর করে রক্তাক্ত করে আসামিরা এবং সাইফুদ্দিনকে রক্তাক্ত অবস্থায় তুলে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় সাইফুদ্দিনের বাবা মো. ইসমাইল সিদ্দিকী বাদি হয়ে মিরসরাই থানায় মামলা করেন।
আরএস/আরবি
