এক সংবাদ সম্মেলনের ঘটনায় প্রবর্তক সংঘের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা ঠুকছে ইসকন। প্রবর্তক সংঘের সাধারণ সম্পাদক তিনকড়ি চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে এবার হয়েছে মানহানির মামলা।
রোববার (১৮ জুলাই) সকালে চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-২ মো. হেলাল উদ্দিনের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন ইসকনের ভক্ত রুবেল ধর।
আদালত দণ্ডবিধির ২৯৮, ৫০০ ও ৫০১ ধারার মামলাটি আমলে নিয়ে বিবাদীর বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী রুবেল কুমার দেব অপু আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, গত ২৬ জুন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রবর্তক সংঘের নেতারা ইসকনকে ‘জঙ্গি’ সংগঠন বলে আখ্যায়িত করেন। এ ঘটনায় আমার মক্কেল রুবেল ধর চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-২ মো. হেলাল উদ্দিনের আদালতে একটি মানহানির মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বিবাদী তিনকড়ি চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।
আরও পড়ুন: ‘হিন্দুদের—লড়াই’ প্রবর্তক সংঘের ২ নেতার বিরুদ্ধে মামলা ইসকনের
এরআগে গত বুধবার (১৪ জুলাই) রাতে প্রবর্তক সংঘের দুই শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মানহানির মামলা করে ইসকন। নগরের পাঁচলাইশ থানায় মামলাটি দায়ের করেন ইসকনের সেবাদাস জুয়েল শীল।
মামলায় প্রবর্তক সংঘের সাধারণ সম্পাদক তিনকড়ি চক্রবর্তী ও সহসভাপতি রণজিৎ কুমার দে-সহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
ওই মামলার এজাহারেও বিবাদী প্রবর্তক সংঘের নেতাদের বিরুদ্ধে ইসকনকে ‘জঙ্গি’ সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করে বিভিন্ন মাধ্যমে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ তোলা হয়।
সেসময় মামলার ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে প্রবর্তক সংঘের সদস্য অ্যাডভোকেট স্বভূপ্রসাদ বিশ্বাস আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, মামলায় যে অভিযোগ করা হয়েছে তা ভিত্তিহীন। আমরা আইনগতভাবে এর মোকাবেলা করব।
প্রসঙ্গত, বেআইনিভাবে প্রবর্তক সংঘের ভূমি আত্মসাৎ, মন্দিরের দানের অর্থ লোপাটসহ বিভিন্ন ‘অনৈতিক কর্মকাণ্ডে’র কারণে ইসকনের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় প্রবর্তক সংঘ। গত ২৬ জুন সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হল মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান প্রবর্তক সংঘের সাধারণ সম্পাদক তিনকড়ি চক্রবর্তী।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, উভয়পক্ষের মৌখিক আবেদনে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত ঢাকায় গত ২ এপ্রিল সমঝোতার চেষ্টায় ত্রি-পক্ষীয় বৈঠক আহ্বান করেন। কিন্তু বৈঠকে ইসকন কর্তৃপক্ষ উপস্থিত হয়নি।