হাসিনাপাড়ায় আবারও রক্তের বন্যা

চকরিয়ায় বাস-লেগুনা-মোটরসাইকেলের ত্রিমুখী সংঘর্ষে ২ জন নিহত ও ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।

শনিবার (১৯ মার্চ) রাত ৮টার দিকে চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাটের হাসিনাপাড়া সংলগ্ন সড়কে এ দূর্ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর মালুমঘাট হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘাতক বাস-মোটরসাইকেল-লেগুনা তিনটি গাড়ি জব্দ করে চালককে আটক করেছে।

আরও পড়ুন: ইটভাটায় লাশ—নাক মুখ পায়ে রক্তের দাগ

নিহতরা হলেন- মোটরসাইকেল আরোহী কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলাধীন ইসলামাবাদের লবণ ব্যবসায়ী মৃত নজির আহমদের ছেলে আবদুল মালেক প্রকাশ মালেক মাঝি (৫০) ও একই উপজেলার উত্তর নাপিতখালী মাদ্রাসাপাড়া এলাকার হাজী আহমেদ শরিফের ছেলে মোক্তার আহমদ (৫২)।

আহতরা হলেন- চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের নতুনপাড়া এলাকার মৃত নজির আহমদের ছেলে জামসেদ উদ্দিন (৫০), একই ইউনিয়নের চা-বাগান খ্রিস্টানপাড়া এলাকার অনন্ত মল্লিকের ছেলে অমূল্য মল্লিক (৬৪) ও বৈরাগিরখীল এলাকার মো. শফিউল আলমের ছেলে আবদুস সালাম (৪২)।

আহতরা মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ্রিস্টান হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও হাইওয়ে পুলিশ জানায়, মোটরসাইকেল চালিয়ে আবদুল মালেক চকরিয়া যাচ্ছিলেন। মালুমঘাট বাজার পেরিয়ে গেলে চট্টগ্রামমুখী শামীম এন্টারপ্রাইজের দ্রুতগতির একটি বাস ও কক্সবাজারমুখী লেগুনা (জিটু) গাড়ির ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে আবদুল মালেক ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান মোক্তার আহমদ নামের একজন।

আরও পড়ুন: তরুণীর লাশ—সড়কেই, কপালে জখমের চিহ্ন—শরীরে রক্তের দাগ

এ বিষয়ে মালুমঘাট হাইওয়ে থানার ইনচার্জ পরিদর্শক ইমন কান্তি চৌধুরী বলেন, হাসিনাপাড়া পয়েন্টে যাত্রীবাহী বাস ও লেগুনা এবং মোটরসাইকেলের ত্রিমুখী সংঘর্ষে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দূর্ঘটনাকবলিত গাড়িগুলো জব্দ করা হয়েছে। নিহতদের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাট হাসিনাপাড়ায় বাড়ি ফেরার পথে পিকআপচাপায় একই পরিবারের ছয় ভাই নিহত ও দুই ভাই-বোন গুরুতর আহত হন।

মুকুল/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!