রাউজানের উরকিরচর ইউনিয়নের সার্কদা এলাকায় হালদা নদীর পাড়ে শফি ব্রিকস ও আজমীর ব্রিকসে অভিযান চালিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার (৮ নভেম্বর) বিকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জোনায়েদ কবির সোহাগ এ অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সহায়তায় দুটি যান্ত্রিক নৌযান জব্দ করা হয়। নৌযানের মালিক আমজাদ হোসেনকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এবং ইটভাটা বন্ধের্ নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়া হালদার চর থেকে মাটি উত্তোলন করায় আজমীর ব্রিকসকেও ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন : ১ ঘণ্টায় হালদার ৩ স্পটে অভিযান, জব্দ হলো ৫ হাজার মিটার জাল
জানা যায়, প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীর তীরবর্তী রাউজান উরকিরচর ইউনিয়নের সার্কদা ও পশ্চিম আবুরখীল এলাকা ও নোয়াপাড়া ইউনিয়নের মোকামীপাড়ায় তিনটি ইটভাটা রয়েছে। এরমধ্যে এক বছর আগে পরিবেশ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে আলীর ইটভাটা গুড়িয়ে দেয়। বাকি দুটি তাদের যান্ত্রিক নৌযান দিয়ে হালদা নদীর তীরে জেগে ওঠা চর থেকে মাটি উত্তোলন করে ইটভাটায় স্তূপ করছিল। তাদের এসব নৌযান নদীতে চলাচলের ফলে প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে হালদার পরিবেশ। মারা যাচ্ছে ডলফিনসহ মা মাছ।
ইউএনও জোনায়েদ কবির সোহাগ বলেন, আজমীর ব্রিকস তাদের নৌযান করে হালদার চর থেকে ইট তৈরির জন্য মাটি আনছিল। এছাড়া শফি ব্রিকসেরও দুটি যান্ত্রিক নৌযান জব্দ করা হয়। তাদের উভয়কে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। হালদা নদীতে মা মাছের প্রজনন রক্ষায় অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকার নাজিরহাট থেকে কালুরঘাট হালদা নদীর মোহনা পর্যন্ত ৪৮ কিলোমিটার এলাকায় মাছ শিকার নিষিদ্ধ করেছে। নদীতে নৌযান যাতে না চলে সেজন্য নৌ পুলিশ ফাঁড়িও বসানো হয়েছে।