হাজার মোটরসাইকেলে হাতিয়ায় শোডাউন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীমকে শোকজ

বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে। দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে নোয়াখালীর হাতিয়ায় মোটরসাইকেল শোডাউন করার অভিযোগে তাঁকে এ শোকজ করা হয়।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ শোকজ করা হয়। তবে বিষয়টি গণমাধ্যমকে সরাসরি জানানো হয়নি।

বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর এবং নোয়াখালী জেলা বিএনপির কয়েকজন নেতা অবশ্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

চিঠি পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শামীমকে অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হলে তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।

চট্টগ্রাম বিভাগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীমের কাছে এ বিষয়ে জানতে ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল।

গত সোমবার হাজারখানেক মোটরসাইকেল নিয়ে শামীমের নেতৃত্বে হাতিয়ার রাস্তায় শোডাউন করা হয়। এতে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। ভোগান্তি পোহাতে হয় সাধারণ মানুষকে।

দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে হাতিয়া উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত জনসভার আগে এ শোডাউন করা হয়। অথচ কেন্দ্রীয়ভাবে এ ধরনের শোভাযাত্রা ও জনসমাবেশ থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা ছিল।

দলীয় সূত্র জানায়, বিএনপির হাইকমান্ড জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি হয় এমন কোনো কর্মসূচি পালনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। বিশেষভাবে নেতাকর্মীদের শোডাউন এবং বিলবোর্ড টাঙানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় দলীয় তৃণমূল পর্যায়ে এসব নিষেধাজ্ঞা জানিয়ে দেওয়া হয়।

এর আগে একই ধরনের শোডাউন করার কারণে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকনকে শোকজ করা হয়েছিল।

গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর খুলনা জেলার কয়রা উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব নুরুল আমিন বাবুল, নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তানভীর উদ্দীন রাজিব এবং নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব দাউদার মাহমুদকেও একই অভিযোগে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

দলের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং জনগণের স্বার্থ রক্ষায় বিএনপির হাইকমান্ড শৃঙ্খলাভঙ্গের বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। শোকজ বা বহিষ্কারের মতো সিদ্ধান্ত দলের অভ্যন্তরে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার একটি প্রতিফলন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

জেজে/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm