বিভিন্ন অপরাধে নগরের ৪ প্রতিষ্ঠানকে ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ, বাসী খাবার সংরক্ষণ ও বিক্রি, আয়োডিনবিহীন লবণ ব্যবহার এবং সংবাদপত্রে খাদ্যদ্রব্য রাখায় এসব প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) নগরের হাজীপাড়া, চৌমুহনী, বাদামতলী ও আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকায় অভিযানে এ জরিমানা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান—৯ প্রতিষ্ঠানকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা
অভিযানে নেতৃত্ব দেন অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. ফয়েজ উল্যাহ, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) পাপীয়া সুলতানা লীজা ও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মু. হাসানুজ্জামান। এতে সহায়তা করেন এপিবিএন-৯ এর সদস্যরা।
সহকারী পরিচালক মু. হাসানুজ্জামান বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০টা থেকে নগরের বিভিন্ন এলাকায় পরিচালিত অভিযানে ৪ প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন- ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় ৮৫ হাজার টাকা প্রশাসনিক জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া অভিযানে বাসী খাবার, অস্বাস্থ্যকরভাবে রক্ষিত খাদ্যোপকরণ ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ধ্বংস করা হয়।
আরও পড়ুন: টিসিবির তেল ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য রাখায় জরিমানা গুনলো ৬ দোকান
তিনি জানান, ডবলমুরিং থানার হাজীপাড়ার এসবি ফার্মেসিকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণ করায় ৫ হাজার টাকা, বাদামতলী মোড়ের ক্যাফে মোহম্মদীয়া কাবাব অ্যান্ড বিরানি হাউসকে বাসী খাবার রাখায় ও আয়োডিনবিহীন লবণ ব্যবহার করায় ২৫ হাজার টাকা, আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকার লেমনগ্রাসকে ছাপা সংবাদপত্র ব্যবহার করে খাদ্যোপকরণ সংরক্ষণ করায় ৩৫ হাজার টাকা এবং অতিথি হোটেলকে নোংরা পরিবেশে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, সংরক্ষণ, থালা-বাসন পরিষ্কারে জমানো পানি ব্যবহার, মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা ও কিচেনে খোলা ডাস্টবিন রাখায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়।