রোহিঙ্গা শীর্ষ নেতা ও আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহকে হত্যা করা হয় মাত্র মাত্র দুই মিনিটে। এই কিলিং মিশনে অস্ত্রধারী ছিল পাঁচজন। এছাড়া হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল ১৯ জন। এটি ছিল পূর্ব পরিকল্পিত।
শনিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান ১৪ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এসপি নাঈমুল হক।
আজিজুলের স্বীকারোক্তির কথা জানিয়ে এসপি নাঈমুল হক বলেন, মুহিবুল্লাহ হত্যার দুদিন আগে মরগজ পাহাড়ে বৈঠক করে দুর্বৃত্তরা। সেখান থেকে পাঁচজনকে অস্ত্রসহ মোট ১৯ জনকে নির্দেশ দেওয়া হয় কিলিং মিশন শেষ করার।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা
তিনি আরও বলেন, ২৯ সেপ্টেম্বর মুহিবুল্লাহকে বাসা থেকে অফিসে ডেকে আনেন মুরশিদ। তারপর বাকিদের সংকেত দেন তিনি। প্রথমে একটি, তারপর দুটিসহ মোট চারটি গুলি করা হয় মুহিবুল্লাহকে। মিশন শেষে মুহিবুল্লাহর বাড়ির পেছন পালিয়ে যায় অস্ত্রধারী পাঁচজন।
এসপি নাঈমুল হক জানান, আজিজুল হক ছাড়াও কুতুপালং ক্যাম্প-১ এর ডি ৮ ব্লকের আব্দুল মাবুদের ছেলে মো. রশিদ প্রকাশ মুরশিদ আমিন, একই ক্যাম্পের বি ব্লকের ফজল হকের ছেলে মো. আনাছ ও নুর ইসলামের ছেলে নুর মোহাম্মদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প-১ ইস্ট-ওয়েস্ট (ডি ব্লকে) নিজ অফিসে অবস্থান করার সময় মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা করে বন্দুকধারীরা। হত্যা মামলায় জড়িতে ৯ জনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে মো. ইলিয়াছ নামের একজন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
বলরাম/আরবি