‘স্বাস্থ্যের আরেক কাণ্ড’—বদলি পেল অবসরে যাওয়া ডাক্তারও

ডা. সুজিত দাশ। চাকরির মেয়াদ শেষে হয়ে গেছে ১০ বছর আগে। তবে একদশক আগে অবসরে গেলেও তাঁকে দেওয়া হয়েছে বদলির আদেশ!

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া বদলির আদেশে নাম আছে ডা. সুজিত দাশসহ অবসরে যাওয়া আরও দুই চিকিৎসকের। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এমন দায়িত্বহীনতায় ক্ষোভের অনল জ্বলছে ডাক্তারদের মাঝে।

মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের অথর্ব মন্তব্য করে নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দিয়েছেন বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) চট্টগ্রাম বিভাগের সমন্বয়ক ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী৷ পোস্টে তিনি তাদের চাকরিচ্যুত করার দাবিও জানান।

জানা গেছে, সোমবার (৫ জুলাই) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ ৪৩টি প্রজ্ঞাপন জারি করে। অফিস আদেশে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও চিকিৎসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ১ হাজার ৩০০ চিকিৎসককে দেশের নানা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের করোনা ইউনিটে বদলি করা হয়।

রংপুর মেডিকেল কলেজের শিশুস্বাস্থ্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মমতাজ বেগম অনেক আগেই চাকরি থেকে অবসরে চলে গেছেন। অথচ তাকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সোমবারের আদেশে অন্য হাসপাতালে বদলি করা হয়।

চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. মো. গিয়াস উদ্দিনের ক্ষেত্রেও এমনটি হয়েছে। ডা. গিয়াস কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ থেকে চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি অবসরে যান। তাঁকেও করোনা ইউনিটে দায়িত্ব পালনের জন্য ‘বদলি’ করা হয়েছে!

বিএমএ চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক ও স্বাচিপ চট্টগ্রাম বিভাগের সমন্বয়ক ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, মৃত এবং অবসরে যাওয়া চিকিৎসকদের নামে বদলির আদেশ আমাদের হতবাক করেছে। এটিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অদক্ষতার চিত্র মনে করছে চিকিৎসকসমাজ।

এ ব্যাপারে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মিনহাজুর রহমান আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, যেসব চিকিৎসক অবসরে গেছেন তাদের আপডেট তথ্য মন্ত্রণালয়ে নেই। একজন চিকিৎসক অবসরে, অথচ তাকে বদলি করা হলো। বিষয়টি নিয়ে আমরা খুব হতাশ। আমি বুঝিনা এসব কর্মকর্তা কীভাবে মন্ত্রণালয়ের বিশাল কাজকর্ম সামাল দেন।

সিএম/ডিসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!