স্বপ্নের পালে লেগেছে হাওয়া। কক্সবাজার-মহেশখালী নৌপথে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে সি—ট্রাক।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ২৫০ জন যাত্রী ধারণক্ষমতার সি—ট্রাকটি কক্সবাজার ঘাট থেকে মহেশখালীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
বাঁকখালী নদীর ৬ নম্বর জেটিঘাট থেকে তিন কিলোমিটারের বাঁকখালী নদী এবং সাত কিলোমিটারের বঙ্গোপসাগর চ্যানেলসহ মোট ১০ কিলোমিটার নৌপথ পাড়ি দিতে সি–ট্রাকটির ৩৫ মিনিট সময় লাগে।
এদিকে সি—ট্রাক চালুর খবরে দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর ঘাটে স্থানীয়দের মাঝে দেখা যায় ব্যাপক আগ্রহ।
জানা যায়, মহেশখালীতে যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই নৌরুটে ফেরি চালুর দাবি দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি ছাত্র ও সাধারণ জনগণের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে উদ্যোগটি বাস্তবায়নে গতি পায়। এরই অংশ হিসেবে আজ পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু হলো।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) জানায়, ২৫ এপ্রিল থেকে নিয়মিত যাতায়াত করবে সি–ট্রাকটি। যাত্রীপ্রতি ভাড়া নির্ধারণ হতে পারে সর্বোচ্চ ৪০ টাকা।
বিআইডব্লিউটিএ পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিন বলেন, আজ থেকে কক্সবাজার-মহেশখালী নৌপথে পরীক্ষামূলকভাবে সি—ট্রাক চালু হয়েছে। জোয়ারের সময় সি–ট্রাকটি চালু করে সফল হয়েছি। ১০ কিলোমিটার সাগর চ্যানেলের বিভিন্ন অংশে পলি জমে ভরাট হয়ে গেছে, জেগেছে ডুবোচর। ভাটার সময়েও সি–ট্রাক চলে কি-না, তা পরীক্ষা করা হবে। যদি সমস্যা হয় তবে চ্যানেলের ভরাট অংশ খননের উদ্যোগে নেওয়া হবে।
২৫ এপ্রিল থেকে এই নৌপথে স্থায়ীভাবে সি–ট্রাক চলবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে সি–ট্রাকের উদ্বোধন করবেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা। শুরুতে একটি সি–ট্রাক চলাচল করবে। পরবর্তীতে সি–ট্রাকের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।
সি–ট্রাকের ভাড়া ৪০ টাকার বেশি হবে না বলে জানান বিআইডব্লিউটিএ পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিন।
সি–ট্রাকের যাত্রী জাতীয় নাগরিক পার্টর (এনসিপি) যুগ্ম সদস্য সচিব এসএম সুজা উদ্দিন বলেন, দ্বীপবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন আজ বাস্তব রূপ পেয়েছে। সি—ট্রাক চালু হওয়ায় এখানকার মানুষের ভোগান্তি অনেকটাই কমে আসবে।
জেজে/আলোকিত চট্টগ্রাম