সেভেন মার্ডার—রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আটক ৮

উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুষ্কৃতকারীদের হামলায় সাতজনের প্রাণহানির ঘটনায় ৮ জনকে আটক করা হয়েছে।

শনিবার (২৩ অক্টোবর) দিবাগত রাতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে এপিবিএন। বিষয়টি আলোকিত চট্টগ্রামকে নিশ্চিত করেন ৮ এপিবিএন’র অধিনায়ক পুলিশ সুপার শিহাব কায়সার। তবে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করেননি তিনি।

এর আগে শুক্রবার ভোরে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ জসিম নামে এক রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছিল। তবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সাত নিহতের ঘটনায় উখিয়া থানায় এখনো মামলা হয়নি।
শুক্রবার গভীর রাতে বালুখালী ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ‘এইচ’ ব্লকে অবস্থিত ‘দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল ইসলামিয়াহ মাদ্রাসায়’ রোহিঙ্গা দুষ্কৃতকারীরা হামলা চালায়। হামলায় সাতজনের প্রাণহানি হয়। এর আগে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের কথা জানালেও পরে ক্যাম্পে দায়িত্বরত এপিবিএন পুলিশ মাদ্রাসায় হামলার কথা নিশ্চিত করে।
এদিকে শুক্রবার রাতে নিহত মাদ্রাসা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নামাজে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়।

আরও পড়ুন : রোহিঙ্গা ক্যাম্প রণক্ষেত্র—নিহত ৭

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৮ আর্মাড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এপিবিএন’র অধিনায়ক পুলিশ সুপার শিহাব কায়সার আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, শুক্রবার রাত আনুমানিক ৪টার দিকে ‘এফডিএমএন’ ক্যাম্প-১৮ এইচ-৫২ ব্লকে অবস্থিত ‘দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল-ইসলামিয়াহ’ মাদ্রাসায় রোহিঙ্গা দুষ্কৃতকারীরা হামলা চালায়। হামলায় মাদ্রাসায় অবস্থানরত ৪ জন এফডিএমএন সদস্য মারা যান। এ সময় পুলিশ হামলাকারীদের একজনকে একটি দেশীয় লোডেড ওয়ান শুটারগান, ৬ রাউন্ড গুলি ও একটি ছুরিসহ আটক করতে সক্ষম হয়।

এদিকে রোহিঙ্গা নেতা মুহিব্বুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আরো এক সন্ত্রাসীকে আটক করেছে ১৪ এপিবিএন পুলিশ। তবে তার পরিচয় এখনো নিশ্চিত করেনি। মুহিব্বুল্লাহ হত্যায় এর আগে আরো ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বলরাম/ডিসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!