অবশেষে কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হয়েছেন চকবাজার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত কাউন্সিলর নূর মোস্তফা টিনু।
বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টেবার) বিকেল ৪টার দিকে কারাগার থেকে মুক্ত হন তিনি।
এর আগে তাকে বরণ করতে মিছিল ও মোটরসাইকেল শোডাউনের মাধ্যমে কারাগারের ফটকে ভিড় জমায় তাঁর কর্মী-সমর্থকরা।
জামিনের পর কারাফটকের ভেতর থেকে একটি সাদা প্রাইভেট করে গলায় ফুলের মালাসহ পাঞ্জাবি ও মাথায় টুপি পড়ে বের হতে দেখা যায় টিনুকে। এ সময় তার স্ত্রীও সাথে ছিলেন।
এর আগে গত রোববার (২৪ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় নুর মোস্তফা টিনুর মা ফেরদৌস বেগম মারা যাওয়ার পর মায়ের জানাজায় অংশ নেওয়ার জন্য পুলিশ পাহারায় ৪ ঘণ্টার জন্য তাকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ‘র্যাবের দিকেই আঙুল’—’গ্যাং লিডার’ টিনুর কাছে অস্ত্র ছিল না, বললেন স্ত্রী
গত ২০ জুন (রোববার) আত্মসমর্পণ করতে গেলে টিনুকে জেলে পাঠানোর আদেশ দেন চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আফরোজা জেসমিন কলি। এর আগে তাঁকে ১৪ দিনের মধ্যে আদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে শুদ্ধি অভিযানে র্যাবের হাতে অস্ত্রসহ আটক হন টিনু। চকবাজার কাপাসগোলা এলাকা থেকে বিদেশি পিস্তলসহ তাঁকে আটক করে র্যাব-৭। তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী টিনুর বাসায় তল্লাশি চালিয়ে একটি শটগান ও ৬৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। র্যাব বাদি হয়ে নূর মোস্তফা টিনু ও তাঁর সহযোগী জসিম উদ্দিনের নাম উল্লেখ করে পাঁচলাইশ থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করে।
আরও পড়ুন: জামানত হারিয়েও গ্যাং লিডার থেকে কাউন্সিলর টিনু—টিআইবির ‘সংশয়’, ইভিএম নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড
এরপর ২০২১ সালের ১৮ জানুয়ারি (সোমবার) বিকেলে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হন নুর মোস্তফা টিনু। অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করার পর তাঁকে পাঁচলাইশ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে কারাগারে ছিলেন তিনি।
এদিকে কারাগারে থেকেই গত ৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত চকবাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে উপনির্বাচনে অংশ নেন তিনি। ২১ প্রার্থীর সেই নির্বাচনে জামানাত হারিয়েও কাউন্সিলর নির্বাচিত হন টিনু।
আরও পড়ুন: চকবাজারের ‘অস্ত্রবাজ’ টিটুর হঠাৎ ‘সন্ত্রাসী’ টিনু হওয়ার গল্প
নুর মোস্তফা টিনু মিষ্টি কুমড়া প্রতীকে ৭৮৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ব্যাডমিন্টন র্যাকেট প্রতীকের মো. আবদুর রউফ পান ৭৭৩ ভোট।
আরবি