‘সুখবর’—বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন প্রজ্ঞাপনে ফায়দা পাবেন গ্রাহকরা

ব্যাংকের নিষ্ক্রিয় হিসাব চালু করতে এখন থেকে মাশুল আদায় করতে পারবে না কোনো ব্যাংক। কোনো সঞ্চয়ী ব্যাংক হিসাবে টানা ১৮ মাস লেনদেন না হলে তা ডরমেন্ট বা নিষ্ক্রিয় হিসাব হিসেবে চিহ্নিত হবে। তবে চলতি আমানত হিসাব এবং বিশেষ নোটিশ আমানত হিসাবের (এসএনডি) ক্ষেত্রে ৬ মাস লেনদেন না হলে হিসাবটিটি নিষ্ক্রিয় হিসেবে বিবেচিত হবে।

এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি জারি করেছে। সব ব্যাংককে এখন থেকে এই নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশ, ব্যাংক হিসাব নিষ্ক্রিয় হলেও ওই হিসাবে থাকা অর্থের বিপরীতে গ্রাহকের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী নিয়মিত সুদ দিতে হবে।

আরও পড়ুন : বাড়ছে ‘করোনা’—বাংলাদেশ ব্যাংকের ২ নতুন সিদ্ধান্ত

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন ব্যাংক ডরমেন্ট বা নিষ্ক্রিয় হিসাব পরিচালনার ক্ষেত্রে ভিন্ন নীতি অনুসরণ করছে। কিছু ব্যাংক এ ধরনের হিসাবে সুদ বা মুনাফা না দিলেও বিভিন্ন ধরনের মাশুল আরোপ ও কর্তন করছে। গ্রাহক পর্যায়ে যা বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে। এ কারণে এখন থেকে ব্যাংকের চলতি, এসএনডি, সঞ্চয়ী হিসাব— যে নামেই অভিহিত করা হোক না কেন, সর্বশেষ লেনদেন ও হিসাব বিবরণীর প্রাপ্তি স্বীকার বা বিবরণীর জন্য সর্বশেষ অনুরোধের তারিখ থেকে ছয় মাস কোনো লেনদেন না হলে প্রথমে সেই হিসাব অপ্রচলিত ব্যাংক হিসাবে গণ্য হবে। এরপর চলতি ও এসএনডি হিসাবে ছয় মাস এবং সঞ্চয়ী হিসাবে ১৮ মাস লেনদেন না হলে তা নিষ্ক্রিয় হিসাবে গণ্য হবে। তবে সরকার, নাবালক এবং আদালতের অর্থ-সংক্রান্ত হিসাব কখনো নিষ্ক্রিয় হবে না।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, গ্রাহকের সঙ্গে চুক্তির শর্তানুযায়ী, নিষ্ক্রিয় ব্যাংক হিসাবেও নির্ধারিত সময়ে সুদ দিতে হবে। প্রযোজ্য মাশুল, এক্সাইজ ডিউটি বা ভ্যাটও কাটা যাবে। এ ধরনের হিসাব পুনরায় চালুর জন্য গ্রাহককে শাখা ব্যবস্থাপকের কাছে লিখিত আবেদন করতে হবে। তবে লেনদেনবিহীনভাবে পাঁচ বছর পার হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিদ্যমান নির্দেশনার আলোকে নতুনভাবে কেওয়াইসি সম্পন্ন করতে হবে।

আবার কোনো ব্যাংক হিসাব নিষ্ক্রিয় করার আগে গ্রাহকের সঙ্গে বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যাংককে যোগাযোগ করতে হবে। হিসাব নিষ্ক্রিয় করার বিষয়টি অবশ্যই গ্রাহককে জানাতে হবে।

আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!