সীতাকুণ্ডে বৌদ্ধ বিহার থেকে প্রায় দেড়’শ বছরের পুরনো অষ্ট ধাতুর নির্মিত তিনটি মূ্ল্যবান বৌদ্ধ মূর্তি চুরি হয়েছে। এ সময় দানবাক্স থেকে নগদ অর্থ চুরির ঘটনাও ঘটেছে।
বুধবার (৯ নভেম্বর) গভীর রাতে পৌরসভাধীন এলাকায় দুর্ধর্ষ চুরির এ ঘটনা ঘটে। সীতাকুণ্ড মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
জানা যায়, পৌরসভাধীন ২নং ওয়ার্ডের এয়াকুব নগর গ্রামে অবস্থিত প্রায় ১শ ২৪ বছরের পুরনো প্রান্থশালা ধর্মাঙ্কুর বৌদ্ধ বিহার থেকে তিনটি অষ্ট ধাতুর নির্মিত বৌদ্ধ মূর্তি চুরির ঘটনা ঘটে। এতে স্থানীয় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মাঝে হতাশা ও উদ্বেগ দেখা দেয়।
বিহারের অধ্যক্ষ সুপ্রিয়ানন্দ থের বলেন, প্রতিদিনের মতো পূজা অর্চনা শেষে রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে ঘুমোতে যাই। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি বৌদ্ধ বিহারের দরজার লক ভাঙা। দানদবাক্সের নগদ অর্থ ও অধিক মূল্যবান দুটি অষ্ট ধাতুর নির্মিত মূর্তি ও একটি পিতলের ব্রন্সের নির্মিত মূর্তি চোরের দল নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, মূর্তিটি প্রায় দেড়শ বছরেরও বেশি পুরনো ছিল। ঘটনাটি থানায় ও বৌদ্ধ বিহারের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে জানানোর পর তারা ও সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।
বিষয়টি নিয়ে প্রান্থশালা ধর্মাঙ্কুর বৌদ্ধ বিহার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মানিক চৌধুরী বড়ুয়া ও সাধারণ সম্পাদক কাজল কান্তি বড়ুয়া বলেন, ১৮৯৮ খৃষ্টাব্দে প্রান্থশালা ধর্মাঙ্কুর বৌদ্ধ বিহারটি স্থাপিত হয়। তখন মিয়ানমারের এক বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ দুটি অষ্ট ধাতুর নির্মিত মূল্যবান মূর্তি ও একটি পিতলের ব্রন্সের নির্মিত মূর্তি এ বিহারে দান করেন। সেই থেকে এখানে দেড়শ বছর ধরে অসংখ্য নিরাপদেই মূর্তিটি ছিল। এখানে এমন চুরির ঘটনা কোনোসময় ঘটেনি। এ ঘটনায় আমরা হতাশ ও উদ্বিগ্ন। বৌদ্ধ বিহার থেকে চুরি হওয়া অষ্ট ধাতুর নির্মিত ঐতিহ্যবাহী মূর্তিগুলো উদ্ধারে প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই।
জানতে চাইলে সীতাকুণ্ড থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তোফায়েল আহমেদ আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
শেখ সালাউদ্দিন/এসআই