সাবধান—নগরে ঘুরছে নারী ছিনতাইকারী দল, একা পেলেই ঘিরে ধরে

নগরে ঘুরছে নারী ছিনতাইকারী দল। টেরিবাজার, সিনেমা প্যালেস, আন্দরকিল্লাসহ বিভিন্ন এলাকায় দলবদ্ধভাবে থাকে এই নারী ছিনতাইকারীরা। একা থাকা পথচারীকে টার্গেট করে ঘিরে ধরে পাপিয়া, জোৎস্না ও রুমারা। এরপর ছিনিয়ে নেয় স্বর্ণালঙ্কারসহ দামি জিনিসপত্র।

মূলত রাস্তা পারাপারের সময় শিকারি টার্গেট করেন তারা। এরপর সেই শিকারির পিছু নেন। সুযোগ বুঝে নির্দিষ্ট স্থানে কিছু বুঝে উঠার আগেই চারপাশে ঘিরে ধরে শুরু করেন মারধর। এরপর ভয়ভীতি দেখিয়ে হাতিয়ে নেন মূল্যবান সব জিনিসপত্র। কাজ শেষে সটকে পড়েন দ্রুত।

রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টায় সংঘবদ্ধ ওই নারী ছিনতাইকারীদের হামলার শিকার হন ৬০ বছর বয়সী রিফাত শামীম।

আরও পড়ুন: ‘চোর নয় মহাচোর’—ক্রেতা সেজে চুরি, পুলিশের জালে আটকাল ৬ চোর

ওইদিন তিনি চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল থেকে নিজ বাসায় যাওয়ার পথে লালদিঘীর উত্তর পাড়ের ওরিয়েন্ট টাওয়ারের নিচে সংঘবদ্ধ নারী ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন। এ সময় তাকে চারপাশ থেকে ঘিরে ৫-৬ জনের সংঘবদ্ধ নারী ছিনতাইকারীরা মারধর ও ভয়ভীতি দেখিয়ে গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে কৌশলে সংঘবদ্ধ নারী ছিনতাইকারীর তিন সদস্যকে আটক করেন। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ছিনতাইয়ের নতুন কৌশলটি পুলিশকে জানান।

আটকরা হলেন- কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী থানা গোপালপুর কুড়িপাড়া মজিদ চেয়ারম্যান বাড়ির সুজন শেখের স্ত্রী মোছা. পাপিয়া বেগম (৪১), ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার নাসিরনগর ধরমন্ডল পোকন চন্দ্র বাড়ির বাদলা মিয়ার স্ত্রী রুমা আকতার (২৬) এবং একই জেলা ও থানা এলাকার দৌলতপুর তাজু মেম্বার বাড়ির মো. সেলিমের স্ত্রী মোছা. জোসনা বেগম (২৫)।

আটক তিনজনই বর্তমানে নগরের বন্দর ও কোতোয়ালি থানা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন।

আরও পড়ুন: টার্গেট নির্মাণাধীন ভবন : চোরচক্রের ৩ নারী অবশেষে ধরা

কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নেজাম উদ্দিন আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, আটক মহিলারা একটি সংঘবদ্ধ ছিনতাই চক্রের সদস্য। তারা রাস্তা পারাপারের সময় টার্গেট করা মহিলার পিছু নেন। সুযোগ বুঝে চারপাশে ঘিরে কৌশলে মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে সরে পড়েন। তারা একই কায়দায় টেরিবাজার, সিনেমা প্যালেস, আন্দরকিল্লাসহ নগরের বিভিন্ন এলাকায় একাধিক ছিনতাই করেছেন।

তিনি আরও বলেন, ছিনতাই করার সময় তারা কখনো আলাদাভাবে কাজ করে না। কোথাও গেলে ৫-৬ জন একসঙ্গে যান। তারা যাকে টার্গেট করেন তার পিছু নিয়ে সুনির্দিষ্ট স্থানে যাওয়ার পর ঘিরে ধরেন এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিয়ে দ্রুত সটকে পড়েন।

আটককৃতদের মধ্যে মোছা. পাপিয়া বেগমের বিরুদ্ধে সিএমপির কোতোয়ালী ও চাঁন্দগাও থানায় দ্রুত বিচার আইনে দুটি এবং পাঁচলাইশ থানায় একটিসহ মোট ৩টি মামলা আছে।

রুমা আকতারের বিরুদ্ধে সিএমপির কোতোয়ালী থানায় দ্রুত বিচার আইনে ১টি মামলা আছে।

ছিনতাইয়ের অভিযোগে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় আলাদা আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানা ওসি নেজাম উদ্দিন।

আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!