নগরের আগ্রাবাদে নালায় পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী সেহেরীন মাহবুব সাদিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলছে তুমুল সমালোচনা। ইতোমধ্যে নগরের বিভিন্ন এলাকায় মানববন্ধন করেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। করেছেন সড়ক অবরোধও। তাদের সবার প্রশ্ন একটাই—এ মৃত্যুর দায় কার?
সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) নানা ও মামার সঙ্গে আগ্রাবাদের ডাক্তারের চেম্বার থেকে বাসায় ফিরছিলেন সাদিয়া। মাজারগেটের সামনে প্রাইম ব্যাংকের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় খোলা নালায় পড়ে যান সাদিয়া। পাঁচ ঘণ্টা পর রাত ৩টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: ৩৪ ঘণ্টায়ও খোঁজ মেলেনি ‘বৃষ্টির পানিতে’—ভেসে যাওয়া লোকের
সাদিয়া নগরের বড়পোলের মইন্যাপাড়ায় প্রবাসী মোহাম্মদ আলীর মেয়ে। মোহাম্মদ আলীর দুই ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে তিনি সবার বড়।
এর আগে গত ২৫ আগস্ট দুপুর ১১টার দিকে মুরাদপুর মোড়ের সঙ্গে লাগোয়া খালে পড়ে মুহূর্তেই তলিয়ে যান নগরের চকবাজার এলাকার সবজি ব্যবসায়ী সালেহ আহমদ। এ ঘটনার মাস পেরিয়ে গেলেও তার লাশ উদ্ধার করা যায়নি। এ ঘটনায় একে অপরের ওপর দায় চাপায় চসিক ও সিডিএ।
এদিকে সাদিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় নগরের বিভিন্ন এলাকায় মানববন্ধন, সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫টায় নগরের আগ্রাবাদ এলাকায় সড়ক অবরোধ করে স্লোগান দেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন লেখা সম্বলিত প্লে-কার্ড প্রদর্শন করেন। একটি প্লে কার্ডে লেখা ছিল— ‘এ দায় কার’।
আরও পড়ুন: মুরাদপুরে নিখোঁজ ছালেহ আহমদের পরিবারের পাশে থাকার ঘোষণা মেয়রের
এর আগে বিকাল সাড়ে ৪টায় জামালখান প্রেসক্লাব চত্বরের সামনে ও নূর আহম্মদ সড়কে চট্টগ্রামের সাধারণ শিক্ষার্থী ও আপামর জনসাধারণের ব্যানারে মানববন্ধন হয়। এতে সাদিয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুর প্রতিবাদ জানিয়ে তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দাবি জানানো হয়।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী সাদিয়ার মৃত্যুর ঘটনার দায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) ঘাড়ে চাপিয়েছেন চসিক মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী। মঙ্গলবার সকালে নগরের আগ্রাবাদে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসেবে সিডিএর নিয়ন্ত্রণে এই সড়কটি। তাই সেখানে চসিকের হাত নেই। সিডিএর অবহেলা ও অসতর্কতার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।