রাঙ্গুনিয়ায় সাংবাদিক আবু আজাদের ওপর হামলাকারী ও নির্দেশদাতাকে গ্রেপ্তারে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে)। এ সময়ের মধ্যে আসামিরা গ্রেপ্তার না হলে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে এ ঘোষণা দেন সিইউজে নেতারা। সমাবেশের পর বের করা হয় বিক্ষোভ মিছিল।
এর আগে সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে সিইউজে কার্যালয়ে এক জরুরি সভায় প্রতিবাদ কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়।
এদিকে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সিইউজে সভাপতি তপন চক্রবর্তী। যুগ্ম সম্পাদক সাইদুল ইসলামের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সহসভাপতি শহীদ উল আলম, সিইউজে সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, বিএফইউজের সাবেক সহসভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, সিইউজের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আলী, বিএফইউজের নির্বাহী সদস্য আজহার মাহমুদ, টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি শফিক আহমেদ সাজিব ও দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের ব্যুরোপ্রধান শামসুদ্দীন ইলিয়াস।
আরও পড়ুন: সাংবাদিককে পিস্তল ঠেকিয়ে মারধর, পালের গোদা পালালেও পুলিশের জালে ইটভাটার ম্যানেজার
বক্তারা বলেন, আবু আজাদের ওপর বর্বোরচিত হামলা পুরো সাংবাদিক সমাজ এবং সাংবাদিকতার ওপর হামলা। এই হামলাকে আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না। মূল আসামি গ্রেপ্তার না করে অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করে কোনো লাভ নেই বলে সমাবেশে উল্লেখ করেন সিইউজে নেতারা।
এর আগে রোববার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে রাঙ্গুনিয়ায় অবৈধ ইটভাটার ছবি তোলায় ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মহিউদ্দিন তালুকদার মোহনসহ ৫ থেকে ৬ জন পিস্তল ঠেকিয়ে সাংবাদিক আবু আজাদকে মারধর করেন। পরে অস্ত্রের মুখে সাংবাদিক আজাদকে গাড়িতে তুলে স্থানীয় মঘাছড়ি বাজারে নিয়ে আবার মারধর করেন মোহন। এরপর তার কার্যালয়ে বেঁধে রেখে নির্যাতন করেন।
এরপর আবু আজাদের মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলে, ওয়ালেট ও আইডি কার্ড কেড়ে নিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। মারধরের একপর্যায়ে মোহনের মোবাইল ফোনে ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর সঙ্গেও কথা বলেন। শেষে আবু আজাদের পকেটে মোহন নিজের ভিজিটিং কার্ড ঢুকিয়ে ক্ষমতা থাকলে কিছু করতে বলেন।
ঘটনার পরদিন সোমবার সন্ধ্যায় ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মহিউদ্দিন তালুকদার মোহন, চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন চৌধুরী, ইটভাটার ম্যানেজার কামরান, মোহনের সহযোগী কাঞ্চন তুড়ির নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ৫ থেকে ৭ জনকে অভিযুক্ত করে রাঙ্গুনিয়া থানা মামলা করেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক আবু আজাদ।