সরকারি খাস জায়গায় পাকা ঘর করছে সহোদর ২ পুলিশ

পটিয়ায় সরকারি খাস জমি দখল করে পুলিশের দুই সহোদরের বিরুদ্ধে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে তাদের দুজনের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছে লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে লিখিত অভিযোগ জমা দেন এলাকার শতাধিক ভুক্তভোগী নারী-পুরুষ।

অভিযুক্ত দুই সহোদর হলেন— পুলিশের কনস্টেবল নেছার উদ্দিন ও মো. আরিফ। বর্তমানে চকরিয়া থানার ওসি আরিফ উপজেলার জিরি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কোটরপাড়া এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বিবাদী দুই সহোদর পুলিশ দুষ্কৃতি, অন্যায়কারী ও মিথ্যাচারী লোক। বৃষ্টির পানি, ব্যবহৃত পানি নিষ্কাশনের জন্য সরকারিভাবে সিট মৌজায় উল্লেখিত বহুদিনের পুরাতন একটি ড্রেন আছে। ওই ড্রেন দিয়ে পূর্বপুরুষরা পানি নিষ্কাশন ব্যবহার করে আসছিল এবং আমরাও সেই অনুপাতে ব্যবহার করে আসছি। ইতিমধ্যে কনস্টেবল নেছার উদ্দিনের ছোট ভাই মো. আরিফের (বর্তমানে চকরিয়া থানায় কর্মরত) প্রভাব দেখিয়ে পুরাতন ড্রেনটি সম্পূর্ণ ভরাট করে অন্য একজনের জায়গার মধ্যে ড্রেন করে পানি চলাচলের ব্যবস্থা করে দেয়। এ ঘটনায় প্রতিবাদ করলে বিবাদী পরে নিজের জায়গার মধ্যে পানি চলাচলের ব্যবস্থা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কিছুদিন যাওয়ার পর যে জায়গায় ড্রেন দিয়েছে ওই জায়গা ভরাট করে ফেলেন। ফলে বৃষ্টির পানি জমে এলাকা ভেসে যায় এবং মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ে।

আরও পড়ুন : সরকারি জমির মাটি কেটে কাঁধে উঠল অর্থদণ্ড

আরও উল্লেখ করা হয়, এ ঘটনায় সাজ্জাদ হোসেন রুবেল নামের এক ব্যক্তি বিবাদীর বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে এবং সত্যতা খুঁজে পায়। পুলিশ আশ্বাস দেয়, পুরাতন ড্রেনটি পুনরায় চালু করে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু কিছুদিন না যেতেই ভরাট করা ড্রেন, সরকারি জায়গায় পাকা ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করেন। এসময় সমাজের লোকেরা বাধা দিলে নেছার উদ্দিন হুমকি-ধমকি দিয়ে মামলার ভয় দেখান।

অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে পুলিশ কনস্টেবল নেছার উদ্দিন বলেন, এলাকায় আমাদের পৈত্রিক বসতবাড়ি খালে ভেঙে চলে গেছে। খালের পাড়ের বাকি জায়গাতে আমার মা-বাবা ও বোনেরা থাকেন। আমরা পরিবার নিয়ে বাইরে থাকি।
সরকারি খাস জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি পরে যোগাযোগ করবেন জানিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানুর রহমান আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, আজ দুপুরে এলাকার ভুক্তভোগী নারী-পুরুষ অফিসে এসে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্তের জন্য সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) দায়িত্ব দিয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কেএ/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm