মা চলে গেল বাপের বাড়ি, বাবা দিল ৩ সন্তানের মুখে বিষ

তিন সন্তানকে বিষ খাওয়ানোর পর বাবা নিজেও খেলেন বিষ। এ ঘটনায় বাবা ও এক সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। তবে বেঁচে থাকা দুই সন্তান হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।

রোববার (১২ ডিসেম্বর) হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটেছে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপের জালিয়াপাড়ায়।

আরও পড়ুন: ‘মাংস নিয়ে ঝগড়া’—এক পরিবারের ৪ মুখে বিষ, কিশোরের মৃত্যু

এদিকে মাহিমা আক্তার (৩) ও জাবেদ ইকবাল (২) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।

টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ জালিয়াপাড়া ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুস সালাম জানান, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহে ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রী অভিমান করে গত ১১ ডিসেম্বর (শনিবার) সন্ধ্যায় বাপের বাড়ি চলে যায়। ওইদিন রাতের কোনো এক সময়ে মো. আনোয়ার (৪০) তার তিন সন্তান সুমাইয়া আক্তার রাহী (৯), মাহিমা আক্তার (৩) ও ছেলে জাবেদ ইকবালকে (২) বিষ খাইয়ে দেন। পরে তিনি নিজেও বিষ পান করেন।

পরদিন ১২ ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে বাড়িতে কারও সাড়াশব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীরা সবাকে বিছানায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখে মুমুর্ষ অবস্থায় মাহিমা আক্তার ও জাবেদ ইকবালজে উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠায়। মারা যাওয়া মো. আনোয়ার ও সুমাইয়া আক্তার রাহীর মরদেহ মর্গে পাঠায়।

আরও পড়ুন: মিরসরাইয়ে বিষপানে কিশোরের আত্মহত্যা

যোগাযোগ করা হলে টেকনাফ মডেল থানান অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, ‘খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। নিহত মো. আনোয়ার ও সুমাইয়া আক্তার রাহীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া বেঁচে থাকা মাহিমা আক্তার ও জাবেদকে ইকবালকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে তারা সেখানে চিকিৎসাধীন আছে।’

বলরাম/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!