ল্যাবে মেয়াদোত্তীর্ণ রি-এজেন্ট ফ্রিজে সংরক্ষিত রাখার অপরাধে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের লাখ টাকা জরিমানা গুণতে হয়েছিল শেভরনকে। এরপরও শোধারায়নি প্রতিষ্ঠানটি। এবার ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রেখে একই অধিপ্তরের জালে ফের ধরা পড়ল প্রতিষ্ঠানটি। কাঁধে উঠল দুই লাখ অর্থদণ্ড। পাশাপাশ করা হলো সতর্ক।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সকালে পাঁচলাইশ থানা এলাকার শেভরন বিশেষায়িত হাসপাতালের দ্বিতীয় ও ষষ্ঠ তলায় দুটি ফার্মেসিতে এ অভিযান চালায় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অভিযানে নেতৃত্ব দেন অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক ফয়েজ উল্যাহ। এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী পরিচালক রানা দেব নাথ ও চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার।
জানা যায, অভিযানে দ্বিতীয় তলার মেসার্স শেভরন ফার্মেসিতে বেশি দামে ওষুধ বিক্রি, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণ এবং মেয়াদ আছে এমন ওষুধের সঙ্গে একই প্যাকেটে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণ করায় ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া একই ফার্মেসিতে মূল্য বেশি নেওয়ার একটি অভিযোগ নিষ্পত্তিতে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ জরিমানার ২৫ শতাংশ টাকা প্রণোদনা হিসেবে অভিযোগকারীকে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন : চট্টগ্রামে ভোক্তার জালে ৫ ভেজাল ব্যবসায়ী
এরপর শেভরণ বিশেষায়িত হাসপাতালের ষষ্ঠ তলার ফার্মেসিতে কাশি, এন্টিবায়োটিক ও ডায়াবেটিকের মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়া যায়। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধগুলো রাখা হয়েছিল মেয়াদ আছে এমন ওষুধের প্যাকেটে। এসব অপরাধে ওই ফার্মেসিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এ বিষয়ে উপপরিচালক ফয়েজ উল্যাহ বলেন, আজকে পরিচালিত অভিযানে শেভরনের দ্বিতীয় ও ষষ্ঠ তলার ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখাসহ বিভিন্ন অনিয়ম দেখা গেছে। এসব অপরাধে দুটি ফার্মেসির কাছ থেকে দুই লাখ টাকা জরিমানা আদায়ের পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করেছি।
তিনি বলেন, একই অভিযানে মেসার্স শেভরন ফার্মেসির বিরুদ্ধে ওষুধের মূল্য বেশি নেওয়ার অভিযোগ করেন এক ভোক্তা। সেই অভিযোগেরও নিষ্পত্তি করে ওই ফার্মেসিকে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করেছি। এই জরিমানার ২৫ শতাংশ টাকা অর্থাৎ ১ হাজার টাকা অভিযোগেকারী ভোক্তাকে দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় মেয়াদোত্তীর্ণ রিএজেন্ট (রাসায়নিক দ্রব্য) ব্যবহার করার অপরাধে শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছিল ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আরবি/আলোকিত চট্টগ্রাম