শিশু আলিনা ইসলাম আয়াতকে অপহরণের পর খুন করে লাশ ছয় টুকরো করা আসামি আবির আলীর সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল হালিমের আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে শনিবার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনে দুদিনের রিমান্ড দেন চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট মো. সাদ্দাম হোসেনের আদালত।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী গোলাম মওলা মুরাদ আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, দুদিন রিমান্ড শেষে পিবিআইয়ের পক্ষ থেকে ফের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে আদালত সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সোমবার সকালে সরেজমিন আদালত ভবনে দেখা যায়, পিবিআইয়ের গাড়িতে করে সকাল ১১টার দিকে আবির আলীকে আদালত ভবনের নিচে আনলেও গাড়ি থেকে নামানো যাচ্ছিল না। পাঁচ বছর বয়সী শিশুকে অপহরণ করে ছয় টুকরো করে সাগরে ভাসিয়ে দেওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসে উঠে সাধারণ মানুষ।
ক্ষুব্ধ জনতার ভিড়ে স্বঘোষিত আয়াতের হত্যাকারী আবিরকে গাড়ি থেকে নামিয়ে আদালতে নিয়ে যাওয়া যাচ্ছিল না। এ সময় ক্ষুব্ধ জনতা স্লোগান তোলেন, আবিরের ফাঁসি চাই। জনসম্মুখে তাকে ফাঁসি দেওয়ার দাবিও তুলেন অনেকে।
এ সময় পুলিশ ক্ষুব্ধ জনতার রোষাণল থেকে আসামি আবিরকে রক্ষার চেষ্টা অব্যাহত রাখেন। মাইকিং করে ক্ষুব্ধ জনতাকে সরে যেতে অনুরোধ করার পরেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পারছিল না পুলিশ। প্রায় দেড় ঘণ্টা গাড়িতেই রাখতে হয় আবিরকে।
এর আগ গত ১৫ নভেম্বর ইপিজেড থানার বন্দরটিলা নয়ারহাট বিদ্যুৎ অফিস এলাকার বাসা থেকে পার্শ্ববর্তী মসজিদে আরবি পড়তে যাওয়ার সময় নিখোঁজ হয় পাঁচ বছর বয়সী শিশু আলিনা ইসলাম আয়াত। নিখোঁজের পরদিন আয়াতের বাবা সোহেল রানা ইপিজেড থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেও সন্ধান পায়নি মেয়ের।
নিখোঁজের দশ দিন পর ২৫ নভেম্বর রাতে গ্রেপ্তার হওয়া আবির পিবিআইয়ের কাছে শিশু আয়াতকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে। আবির শিশু আয়াতকে হত্যার পর মরদেহ ছয় টুকরো করে সাগরে ভাসিয়ে দেওয়ার কথা জানায় পিবিআইকে।
আয়াতের বাবা সোহেল রানার করা মামলায় আবিরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে দশ দিনের রিমান্ড চায় পিবিআই। আদালত দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মুক্তিপণ দাবির জন্যই আবির আলী আয়াতকে অপহরণ করে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন।
আয়াত ইপিজেড থানার দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের নয়ারহাট এলাকার বাসিন্দা সোহেল রানা ও সাহিদা আক্তার তামান্না দম্পতির মেয়ে।
আরএস/এসআই