চট্টগ্রমের কর্ণফুলী উপজেলায় মধ্যরাতে হঠাৎ হাতির আক্রমণে মো. আরমান জাওয়াদ নামে তিন মাস বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন ওই শিশুর মা খজিমা বেগম (৩০)।
এদিকে ঘটনার পর লাশ নিয়ে সড়ক অবরোধ করেছেন এলাকার ক্ষুদ্ধ জনতা। আজ (২২ মার্চ) সকাল থেকে সড়ক অবরোধ করা হয়। পরে সড়কেই ওই শিশুর জানাজা পড়ানো হয়। এসময় সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজটে। এ কারণে আটকে পড়েন শত শত মানুষ।
এর আগে শুক্রবার (২১ মার্চ) রাত ২টার দিকে উপজেলার বড় উঠানের শাহমীরপুর জমাদারপাড়া এলাকায় হাতির আক্রমণে শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
শিশু মো. আরমান জাওয়াদ একই এলাকার মো. ইব্রাহীমের ছেলে। গুরুতর আহত মা খজিমা বেগম বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেলে কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন : আনোয়ারায় বন্য হাতির তাণ্ডব চলছেই, বন বিভাগ বলছে—তাড়ানো সম্ভব নয়
জানা যায়, শনিবার সকাল ৬টার পর স্থানীয়রা ওই শিশুর লাশ নিয়ে কেইপিজেড এলাকায় পেকুয়া-আনোয়ারা-বাঁশখালী পিএবি সড়কে অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এসময় বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা। সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করায় তৈরি হয় দীর্ঘ যানজট। এতে আটকে পড়ে দুর্ভোগে পড়েন শত শত মানুষ। যানজটে আটকে পড়েন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবি। তাদের অনেকে বাধ্য হয়ে পায়ে হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
নিহত শিশুর বাবা মো. ইব্রাহীম বলেন, শুক্রবার রাতে হঠাৎ একটি বন্য হাতি এসে টিনের ঘর ভাঙচুর করে। প্রাণে বাঁচতে খজিমা বেগম সন্তান জাওয়াদকে নিয়ে ঘর থেকে বের হলে হাতি শুঁড় দিয়ে তুলে আছাড় দেয়। এসময় ঘটনাস্থলে আমার শিশু সন্তানের মৃত্যু হয়। আমার স্ত্রী আহত হন। তাকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে বিক্ষোভরত একাধিক এলাকাবাসী জানান, বন্য হাতির আক্রমণে একের পর এক মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। এরপরও বন বিভাগ ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নীরব ভূমিকা পালন করছে। হাতির আক্রমণ থেকে বাঁচতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান তারা।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুপুর ১টার পর সড়কে গাড়ি চলাচল শুরু হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা কেইপিজেড গেটে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছে।
যোগাযোগ করা হলে কর্ণফুলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মু. শরীফ আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
কাঞ্চন/আরবি