রাতে ফেসবুকে দুটি পোস্ট—এরপর দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীর আত্মহনন

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে আত্মহনন করেছেন আব্দুল আউয়াল বাকের (১৭) নামে মিরসরাইয়ের এক স্কুলশিক্ষার্থী।

সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে গলায় চাদর পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে বাকের। সে নাহেরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র।

নিহত বাকের উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড পরাগলপুর এলাকার আশরাফ আলী সওদাগর বাড়ীর আলমগীর হোসেনের ছেলে। ৩ বোন, ২ ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট সে।

এদিকে খবর পেয়ে আজ (বুধবার) সকাল ১১টার দিকে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেছে।

আরও পড়ুন: চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় বিয়ে, ১৩ দিন পর যুবকের আত্মহনন

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন রাত রাত ৯টা ২ মিনিটের দিকে নিজের ফেসবুকে পোস্ট দেন- ‘রাত ১২টায় কিছু একটা করে ফেলব ইনশাআল্লাহ’। এরপর রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আরেকটি পোস্ট দেন- ‘আর ১০ মিনিট পর একজনকে শান্তি করে সব ছেড়ে চলে যাবো না ফেরার দেশে। ভালো থেকো প্রিয়’। এ পোস্টটি দেওয়ার পর গলায় চাদর পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে সে।

বাকেরের বড় বোন আরবের নেছা আনিকা বলেন, আমার ভাইয়ের সঙ্গে তার স্কুলের একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ওই মেয়েকে নিয়ে দুয়েকদিন আগে জোরারগঞ্জ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের মুক্তিযুদ্ধের বিজয়মেলায় ঘুরতেও গিয়েছিল। বিষয়টি মেয়ের ভাই এবং বন্ধুরা দেখে ফেলে। গতকাল যখন আবার দেখা করতে যায় মেয়ের ভাই এবং বন্ধুরা মিলে তাকে মারধর করে এবং মেয়েটি তাকে না চেনার ভান করে। এরপর সে অভিমান থেকে রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে গলায় চাদর পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।

তিনি আরও বলেন, প্রতিদিনের মতো গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে আমাদের সবার সঙ্গে হাসাহাসি করে কথা বলেছিল এবং একসঙ্গে আমরা রাতের খাবার খেয়ে ঘুমাতে গিয়েছি। কিন্তু কখন যে সে এটা করল কেউ বুঝতে পারিনি।

যোগাযোগ করা হলে জোরারগঞ্জ থানার এসআই মামুনুর রশিদ আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, খবর পেয়ে আজ সকাল ১১টার দিকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আজিজ/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!